ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
Sharenews24

কণ্ঠশিল্পী মমতাজের পায়ে জুতা হারানোর পেছনে রহস্য

২০২৫ মে ১৩ ১৯:০৫:১৫
কণ্ঠশিল্পী মমতাজের পায়ে জুতা হারানোর পেছনে রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: আদালতে হুড়োহুড়ির মধ্যে হাজতখানায় নেওয়ার সময় পায়ে থাকা জুতা হারালেন সাবেক এমপি ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে মমতাজকে আদালতে আনা হয়। এসময় তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। মমতাজ বেগমের আসার খবরে আদালতে সৃষ্টি হয় তীব্র উত্তেজনা। কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলেও ধাক্কাধাক্কি এবং আইনজীবীদের রোষানল এড়ানো যায়নি।

শুনানির সময় তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে তোলা হয়। এদিন তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর আদালতজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পুলিশ সদস্যরা মমতাজ বেগমকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় আইনজীবীদের ধাক্কাধাক্কি ও হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়েন। এসময় মাথায় হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে তাকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। মমতাজ পুরোটা সময় মাথা নিচু করে হাঁটছিলেন। তবে, একপ্রকার দৌড়ে নিয়ে যাবার সময় নিজের পায়ের জুতা খুলে যায় মমতাজের।

হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পর হাজতখানার গেটের সামনে তার জুতা জোড়া পড়ে থাকতে দেখা যায়। পড়ে থাকা জুতো জোড়ার সঙ্গে মমতাজ বেগমের গ্রেপ্তারের পরে ডিবি অফিসে তোলা ছবিতে পায়ে থাকা জুতার সঙ্গে মিল পাওয়া যায়।

এদিকে জুতা হারানোর বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ উপপরিদর্শক কামরুল ইসলাম বলেন, “আসামিকে হাজতখানা থেকে পাঠানো হয়েছে। তার পায়ে জুতা ছিল কিনা তা খেয়াল করিনি। হুড়োহুড়ির ভেতর জুতা হারানোর বিষয়টি আমার জানা নেই।”

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন ভুক্তভোগী মো. সাগর। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। এ সময় ভুক্তভোগী সাগরের বুকে গুলি লেগে তার শরীরের পেছন দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। পরে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা মোসা. বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া মামলায় ২৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মমতাজ বেগম এ মামলার ৪৯ নং এজাহারনামীয় আসামি।

২০০৮ সালে শিল্পী মমতাজ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হন। পরবর্তীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ এলাকা মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যান মমতাজ।

মুসআব/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে