ঢাকা, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
Sharenews24

ড. ইউনূসের মাস্টারস্ট্রোকে ভারতের ঘুম হারাম

২০২৫ এপ্রিল ২৬ ০৯:২৮:০৩
ড. ইউনূসের মাস্টারস্ট্রোকে ভারতের ঘুম হারাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে মুহুরী নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতীয় রাজ্য ত্রিপুরা। সাম্প্রতিক সময়ের এই উন্নয়নকে ঘিরে ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। আর এতে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশের নতুন কূটনৈতিক অবস্থান ভারতের আগের আধিপত্যবাদী কৌশলকে একের পর এক চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যেন পাল্টে গেছে ঢাকার ভাষা—আর তাতেই অস্বস্তিতে পড়েছে নয়াদিল্লি।

২০২৪ সালের আগস্টে ত্রিপুরা থেকে বিনা নোটিশে পানির প্রবাহ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা ঘটায় ভারতের তৎকালীন পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এতে কোটি টাকার ফসলহানির পাশাপাশি লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়। সেই ঘটনার এক বছর না যেতেই এবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মুহুরী নদীতে সুরক্ষামূলক বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়েছে, যা ত্রিপুরা প্রশাসনে এক ধরনের মৌসুমী আতঙ্ক তৈরি করেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম NDTV এক প্রতিবেদনে জানায়, দক্ষিণ ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী এলাকায় এই বাঁধ ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে বর্ষাকালে বন্যার আশঙ্কা প্রকাশ করে একে "রাজনৈতিক প্রতিশোধের প্রাচীর" বলেও ব্যাখ্যা করেছে কিছু মহল।

তবে বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বাঁধ নির্মাণ সম্পূর্ণভাবেই দেশের ভেতরে এবং নিজস্ব ভূখণ্ডে পানি ব্যবস্থাপনার অংশ। ভারতের দাবি ভিত্তিহীন ও অতিরঞ্জিত।

ত্রিপুরা সরকারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা পাবলিক ওয়ার্কার্স বিভাগের সচিব কিরণ গিত্তে বলেছেন, “আমরাও পাল্টা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের পক্ষ থেকে অতিসংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া আসার পেছনে রয়েছে বাংলাদেশের পরিবর্তিত পররাষ্ট্রনীতি। দীর্ঘদিন ধরে একপাক্ষিক সুবিধা পাওয়া ভারত এখন বাংলাদেশকে আরও আত্মনির্ভর ও স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে দেখছে যা তাদের কাছে অস্বস্তিকর।

নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ঘিরে ভারতের আগ্রাসী বাঁধনীতি বহু বছর ধরেই আলোচিত। কিন্তু এবার নিজস্ব নিরাপত্তার খাতিরে নেওয়া একটি প্রকল্পেই যে প্রতিবেশী রাষ্ট্র এতটা অস্থির হয়ে পড়েছে তা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে ভারসাম্যের নতুন ইঙ্গিত দিচ্ছে।

মুয়াজ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে