ঢাকা, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
Sharenews24

দ্বিতীয় দফায় নতুন করে ৩০টি গাড়ি নিলামে

২০২৫ মার্চ ১১ ১২:০৯:৪৪
দ্বিতীয় দফায় নতুন করে ৩০টি গাড়ি নিলামে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং এমপিদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে ওঠানোর প্রক্রিয়া নিয়ে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, গত ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত প্রথম নিলামে ৪৪টি গাড়ির মধ্যে ৯টি বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রি হয়নি এবং অন্যান্য গাড়ি নিয়ে কম আগ্রহ দেখা গেছে। এর পর, দ্বিতীয় দফায় ৩০টি নতুন গাড়ি সহ মোট ৬০টি গাড়ি নিলামে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

৪৪টি গাড়ি, যার মধ্যে বিলাসবহুল গাড়িও ছিল, গত জানুয়ারিতে প্রথম নিলামে তোলা হয়। কিন্তু ৯টি বিলাসবহুল গাড়ি এবং ১৫টি গাড়ি তেমন কোনো আগ্রহ পায়নি।

পরবর্তীতে, দ্বিতীয় দফায় নতুন করে ৩০টি গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে, মোট ৬০টি গাড়ি নিলামে উঠবে।

অনেক গাড়ির মালিকরা নিলাম হওয়ার পর আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন, যার কারণে ওই গাড়িগুলোর নিলামের পর ডেলিভারি দিতে পারছে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

এই আইনি জটিলতার কারণে অনেক গাড়ি বন্দরে পড়ে আছে এবং সেগুলোর নিলাম প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

নিলামে তোলা গাড়িগুলির মধ্যে বিলাসবহুল সেডান, মাইক্রোবাস, পাজেরো, পিকআপ এবং ট্রাক রয়েছে। অনেক গাড়ি ২০০২ সাল থেকে বন্দরে পড়ে আছে এবং আইনি কারণে সেগুলি নিলামে তোলা সম্ভব হয়নি।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গাড়ির দাম নির্ধারণে বিভিন্ন প্যারামিটার বিবেচনা করে, যেমন মডেল, আমদানি মূল্য এবং শুল্ক। তবে, নিলামের দাম বাজারদরের তুলনায় বেশি হতে পারে, যার কারণে অনেক ক্রেতা আগ্রহ হারান। অনেক ক্ষেত্রে, যদি কোনো আমদানিকারক গাড়ি ডেলিভারি হওয়ার আগ মুহূর্তে আদালতে মামলা করেন, তাহলে গাড়ি বিক্রির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। এছাড়া, গাড়ির মূল্যও কখনো কখনো বাজারদরের তুলনায় অনেক বেশি নির্ধারিত হয়, যা নিলামে আগ্রহ হারানোর কারণ।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ বলছে, আইনি জটিলতা এবং মূল্য নির্ধারণের সমস্যাগুলির কারণে নিলাম প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে, তারা দ্রুত সময়ে মধ্যে এসব সমস্যা সমাধান করার জন্য চেষ্টা করছে এবং একযোগভাবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, এনবিআর এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এসব সমস্যার সমাধান করতে কাজ করছে।

এনামুল/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে