ধসে পড়ছে এস আলমের সাম্রাজ্য: তিনটি বাড়িতে এখন শুধুই নীরবতা
নিজস্ব প্রতিবেদক : মোহাম্মদ সাইফুল আলম, যিনি এস আলম গ্রুপের কর্ণধার, বাংলাদেশের এক ডজন ব্যাংক থেকে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা তুলে নিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তোলেন, বর্তমানে তার তিনটি বাড়িতে ব্যাপক নীরবতা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এস আলমের পরিবারের সদস্যরা তাদের বাসাগুলোতে আর ফেরেননি। এসব বাড়িতে আগে নিয়মিত যাতায়াত ছিল ব্যাংক কর্মকর্তাদের এবং এস আলম গ্রুপের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের, কিন্তু বর্তমানে সেখানে একপ্রকার শূন্যতা দেখা যাচ্ছে। এস আলমের ব্যবহৃত দামি গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং বাড়িগুলোর নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত আনসার সদস্যদেরও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এস আলমের তিনটি বাড়ি চট্টগ্রাম শহরের সুগন্ধা আবাসিক এলাকায়, পটিয়ার গ্রামের বাড়ি এবং ঢাকা বনানীর ওল্ড ডিওএইচএস এলাকায় অবস্থিত। চট্টগ্রামের পটিয়ার আজিমপুরে প্রায় ৫০ একর জমিতে নির্মাণাধীন বিলাসবহুল বাংলোবাড়ির কাজ সরকার পতনের পর বন্ধ হয়ে গেছে। এই বাড়িতে এস আলমের সাত ভাইয়ের জন্য সাতটি বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল, যেগুলোর মূল কাঠামো প্রায় তৈরি হয়ে গেছে।
মোহাম্মদ সাইফুল আলমের জন্ম চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় ১৯৬০ সালে। তিনি ব্যবসা শুরু করেছিলেন টিনের এজেন্ট হিসেবে, তবে দ্রুত তার ব্যবসা বিস্তার লাভ করে। ২০০৪ সালে তিনি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং পরবর্তী সময়ে অন্যান্য ব্যাংকগুলোরও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন, যার ফলে তিনি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি হয়ে উঠেন। তিনি নিজে, তার পরিবার এবং তার ছেলেমেয়ে ও জামাইদের নাম ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেন এবং সেই ঋণকে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করেন।
এছাড়া, এস আলম গ্রুপের ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। এস আলমের এক ভাই, আবদুস সামাদ (লাবু), ছিলেন আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর এসব ব্যাংকগুলো এস আলমের পরিবারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হয়েছে এবং গ্রাহকদের অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চলছে।
বর্তমানে, এস আলম নিজেকে সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করেছেন এবং তিনি তার সুরক্ষা পাওয়ার জন্য সিঙ্গাপুরের আইনের প্রতি আস্থাশীল। তিনি এবং তার পরিবার বর্তমানে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে সেখানে বসবাস করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে কিছুটা বাধা সৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে তার দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগের পর তার বিরুদ্ধে অর্থ আদায় এবং সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপে।
পটিয়ায় এস আলমের আদি বাড়ি এখন ফাঁকা হয়ে গেছে। স্থানীয়দের মতে, করোনাভাইরাসের পর থেকে তিনি সেখানে যাননি এবং শোনা যাচ্ছে, তিনি অনেক মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চট্টগ্রাম শহরের সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় তার সাত তলা ভবনও এখন শূন্য। এখানে তার পরিবার কোনো স্থায়ীভাবে বাস করেন না, এবং আগে যে কর্মচারীরা বাড়িতে কাজ করতেন, তাদেরও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পটিয়ায় গড়ে তোলা হচ্ছে এস আলমের বাংলোবাড়ি, যেখানে সাতটি বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, সরকার পতনের পর এক মাস কাজ চলার পর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে প্রায় ২০০ শ্রমিক কাজ করতেন, কিন্তু এখন তাদের সংখ্যা কমে গিয়ে মাত্র ৪ জন নিরাপত্তারক্ষী উপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে, পটিয়ার বাংলোবাড়ির সামনে ছোট মুদি দোকানও বন্ধ হয়ে গেছে। পূর্বে যেখানে দিনে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার খাবার বিক্রি হতো, বর্তমানে তা কমে এক হাজার টাকার নিচে নেমে এসেছে।
এস আলমের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক অনিয়ম ও সরকারের নীতি পরিবর্তনের পর তার নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলো এবং সম্পদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় ধরনের সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
কেএইচ/
পাঠকের মতামত:
- খান ব্রাদার্সের দ্বিতীয় দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- সিলভা ফার্মার দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ইন্দোবাংলা ফার্মার দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
- ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- সাফকো স্পিনিংসের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ইস্টার্স ক্যাবলসের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- শার্প ইন্ডাস্ট্রিজের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ওয়াটা কেমিক্যালসের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- জিপিএইচ ইস্পাতের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- সিমটেক্সের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- এম.এল. ডাইংয়ের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- টেকনো ড্রাগসের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ডেল্টা স্পিনার্সের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- সালভো কেমিক্যালের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ক্রাউন সিমেন্টের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- এসিআই লিমিটেডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- বিডি থাই অ্যানুমিনিয়ামের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- নিউইয়র্কে অভিবাসীদের ধরপাকড় শুরু, বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
- শাশা ডেনিমের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- লাভেলো আইসক্রিমের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- পোশাক শিল্পে বড় সংকটের পূর্বাভাস
- সাত কলেজের নতুন নাম হতে পারে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
- এডিএনের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- বিডি থাই ফুডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের নতুন কর্মসূচি
- গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধ প্রকাশ্যে
- খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপির ৮ বছর কারাদণ্ড
- পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা জানালেন নাহিদ
- আফতাব অটোমোবাইলসের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- সিএপিএম ইউনিট ফান্ডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- আইটি কনসালটেন্টসের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- কোটা পদ্ধতি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিন সিদ্ধান্ত
- বাংলাদেশসহ দুঃসংবাদ পেলো ৩ দেশ
- ধর্ম উপদেষ্টার অনুষ্ঠানে নারী সাংবাদিককে প্রবেশে বাধা
- ভারত থেকে শেখ হাসিনার ভাষণের দাবিতে ভিডিও, যা জানা গেল
- জাবি ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
- জিবিবি পাওয়ারের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- স্কয়ার টেক্সটাইলসের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- শেয়ার বিক্রির খবরে পতনের পর ঘুরে দাঁড়াল বেক্সিমকো ফার্মা ও শাইনপুকুর
- একমি পেস্টিসাইডের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- এডভেন্ট ফার্মার দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেলো বিনিয়োগকারীরা
- সোনালী পেপারের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- পাওয়ার গ্রিডের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- শেখ রেহানার ৪ বাংলোবাড়ির খোঁজ, দুদকের তদন্ত শুরু
- ৩৬৮ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ, এস আলম গ্রুপের বড় ধাক্কা
- স্কয়ার ফার্মার দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে আমরণ অনশনের ডাক
- নাহিদ ইসলামের স্ট্যাটাস নিয়ে সারজিস ও হাসনাতের তীব্র প্রতিক্রিয়া
- বাংলাদেশকে দুঃসংবাদ দিলো চীন
- সেনা সদস্যদের উদ্দেশে সেনাপ্রধানের বার্তা
- উপদেষ্টা পরিষদে পরিবর্তন নিয়ে যে তথ্য দিলেন আসিফ নজরুল
- বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বের নতুন তারিখ ঘোষণা
- ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি ও ডিএমডির একযোগে পদত্যাগ
- চাকরি থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কায় ২১ এএসপি
- তিন কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর
- এক বিনিয়োগকারী পেল সিটি ব্যাংকের ৫১ লাখ শেয়ার
- তবে কি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন উপদেষ্টা নাহিদ-আসিফ
- ফুরফুরে মেজাজে ‘জেড’ গ্রুপের চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- অগ্নি সিস্টেমসের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- শেয়ারবাজারে দুর্বল কোম্পানির ‘বিতর্কিত কারবারি’
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল ৭ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ছয় ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন