ঢাকা, রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার ভুল তথ্যে পরিপূর্ণ

২০২৫ জানুয়ারি ২৪ ২২:২৭:৪৭
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার ভুল তথ্যে পরিপূর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের গণমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কর্তৃক প্রকাশিত গণহত্যার পলাতক আসামি আসাদুজ্জামান খান কামালের সাক্ষাৎকারে মিথ্যাচার ও ভুল তথ্যে সয়লাব দেখা গেছে।

এ বিষয়ে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং-এর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে আত্মগোপন করা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তার মিথ্যাচার প্রচার করতে গিয়ে তথ্য যাচাই না করে সংবাদ পরিবেশন করেছে।

কামাল তার সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, গত বছরের ৩ থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে প্রায় ৪৬০টি পুলিশ স্টেশন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল এবং ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র ওই পুলিশ স্টেশনগুলো থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

অপরদিকে, পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মোট ৫ হাজার ৭৫০টি অস্ত্র লুট হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই ৫ আগস্ট ঘটেছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৩৫৮টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং বাকি অস্ত্রগুলোর উদ্ধার অভিযান চলছে।

আমাদের এখানে জানানো হয়েছে, আন্দোলনের সময় মোট ১১৪টি থানায় হামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৫৮টি পুড়িয়ে এবং ৫৬টি ভাঙচুর করা হয়েছে। সব থানাই বর্তমানে কার্যকর রয়েছে। কামাল তার সাক্ষাৎকারে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে 'ইসলামী সন্ত্রাসী এবং সেনাবাহিনীর যৌথ অভ্যুত্থান' বলে অভিহিত করেছেন। ফলে, শিশু সহ এক হাজারেরও বেশি মানুষ হত্যা এবং প্রায় ২০ হাজার আহত হওয়ার জন্য শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের কোনো অনুতাপ নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে কামাল বাংলাদেশের আদালতে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে স্পষ্ট হুমকি এবং হাসিনা ও তার অনুসারীরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত থেকে ষড়যন্ত্র করছে তারই প্রমাণ।

কামাল দাবি করেন, এসব হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামি হওয়ার পর খুনের শিকার ৫৪ জন ব্যক্তি ফিরে এসেছেন। তার এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কোনও সরকারি বা স্বাধীন সূত্র দ্বারা যাচাই করা ছাড়াই এটি প্রকাশ করেছে।

কামাল দাবি করেছেন যে বাংলাদেশের ‘গণমাধ্যম সম্পূর্ণরূপে তাদের (অন্তর্বর্তী সরকারের) নিয়ন্ত্রণে। তবে প্রেস উইং দাবি করেছে, এটি একটি অত্যন্ত ভুল বক্তব্য, কারণ ২০২৪ এর ৮ আগস্টের পর থেকে কোনো স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম কোনো সরকারি সংস্থার দ্বারা কোনো বাধার সম্মুখীন হয়নি এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রের পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে

মিজান/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে