ঢাকা, বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

জানা গেলো লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রিত্ব হারানোর পেছনের আসল কারণ

২০২৫ জানুয়ারি ২২ ১২:৫২:২১
জানা গেলো লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রিত্ব হারানোর পেছনের আসল কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: লতিফ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেল "ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন"-এ একটি টকশোতে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি তার মন্ত্রিত্ব হারানোর পেছনের কারণ এবং সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে মন্তব্যের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।

সিদ্দিকী জানান, তিনি কখনো সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে কিছু বাজে কথা বলেননি, কিন্তু তিনি শেখ হাসিনার কাছ থেকে মন্ত্রিত্ব হারানোর পেছনে অভ্যন্তরীণ অসন্তুষ্টি ও বিতর্ককে দায়ী করেন। তার দাবি, তিনি আওয়ামী লীগের শাসনব্যবস্থায় কিছু দলের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিশেষ করে শেখ সেলিম ও লিটনের মতো প্রভাবশালী নেতাদের দুর্নীতির বিষয়ে। সিদ্দিকী বলেন, তিনি শাসনব্যবস্থায় এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন এবং ওইসব নেতাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছিলেন, যার ফলে তার মন্ত্রিত্ব চলে যায়।

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে তার বক্তব্য একদম নির্দোষ ছিল। জয় তার কাছে কখনো কোনো মন্তব্য করেননি, এবং তার কাছ থেকে কোনো খারাপ কথাও শোনা যায়নি। তিনি জানান, ২০১৫ সালে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তিনি সজীব ওয়াজেদ জয়কে একবারই দেখা করেছিলেন, তখন তারা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। সিদ্দিকী আরও বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় তাকে চীন এবং আমেরিকা সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন, বিশেষ করে আমেরিকার ব্যবসা সম্পর্কে। জয় তাকে বলেছিলেন যে আমেরিকা ১০ টাকার জিনিস ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারে।

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও দুর্নীতির বিষয়ে তার প্রশ্ন তোলার ফলস্বরূপ তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তিনি মন্তব্য করেন, আওয়ামী লীগের শাসনব্যবস্থায় কিছু চাটুকার এবং খোসামোদকারীরা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তার করেছিল এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে এর কারণেই তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

লতিফ সিদ্দিকী আরও বলেন, তিনি তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন, কিন্তু তার সময়েই এই মন্ত্রণালয় এবং সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য বা বিরোধ ছিল না। তিনি বলেন, তার মূল লক্ষ্য ছিল দেশের প্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, কিন্তু তার মন্ত্রিত্ব হারানোর পর তিনি এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

এছাড়া, সিদ্দিকী বলেন যে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর কোনো ভিত্তি ছিল না এবং তিনি দৃঢ়ভাবে দাবি করেন যে তার মন্ত্রিত্ব হারানোর পেছনে সরকারী অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির প্রভাব ছিল, যা তাকে ঠেকাতে সক্ষম হয়।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে