নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে একটি রেস্টুরেন্টে বসে এক তরুণ ও তরুণী একান্ত সময় কাটাচ্ছিলেন এবং দাবি করা হচ্ছিল যে, এই যুবক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সহসমন্বয়ক এবং প্রেমিকার সঙ্গে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। তবে রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা গেছে, এটি একটি অভিনীত বা স্ক্রিপ্টেড ভিডিও এবং বাস্তব কোনো ঘটনা নয়।

এছাড়া, ভিডিওতে উপস্থিত যুবকটি নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি কোনো সহসমন্বয়ক নন। রিউমার স্ক্যানারের তদন্তে, ভিডিওটি ২০২৩ সালের একটি পুরোনো ভিডিও হিসেবে চিহ্নিত হয়। এই ভিডিওটি T.SadiS নামের একটি ফেসবুক পেজে ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে "পরকীয়া প্রেমে হাতেনাতে ধরা" শিরোনামে পোস্ট করা হয়েছিল। ওই ভিডিওর ক্যাপশন এবং স্ক্রিনশটগুলোর মিল দেখে এটি নিশ্চিত করা হয়েছে যে, এটি বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে তৈরি একটি স্ক্রিপ্টেড ভিডিও।

এছাড়া, ওই ফেসবুক পেজের পরিচালকই ভাইরাল ভিডিওটি তৈরি করেছিলেন এবং ভিডিওটি মজার ছলে তৈরির জন্য 'Bangla Funny Videos' হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছিলেন।

এই ভিডিওটি পরবর্তীতে ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে পুনরায় শেয়ার করা হয় "পুরনো ভিডিও তে লারা দিলো কে…?" শিরোনামে। ভিডিওতে উপস্থিত যুবক, তারিকুল ইসলাম, বলেন যে, ভাইরাল ভিডিওটি ২০২৩ সালের এবং এটি সম্পূর্ণ একটি স্ক্রিপ্টেড ভিডিও।

অতএব, এই ভিডিওটি বাস্তব কোনো ঘটনার অংশ নয়, বরং একটি পুরনো, বিনোদনমূলক ভিডিও যা নতুন করে ভাইরাল হয়ে ওঠে।

কেএইচ/