দেশবাসীর পাশে আছেন শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, দেশে এক সংকটময় অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর জন্য বিবৃতি দিয়েছে দলটি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং দলের সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশবাসীর পাশে আছেন বলে জানানো হয়েছি ওই বিবৃতিতে।
আজ বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের বিবৃতি এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আওয়ামী লীগের আহ্বান এটি।ওই বিবৃতিতে সেন্ট মার্টিনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মাটিতে অন্য কোনো দেশের পতাকা উড়তে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধ হবে, স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ।
আওয়ামী লীগের পুরো বিবৃতিটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-
প্রিয় দেশবাসী,আসসালামু আলাইকুম।
সবাই শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিবেন। জানি আপনারা ভালো নেই। দেশের সার্বিক অবস্থা চারদিকে সবার মাঝে এক সংকটময় অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং দলের সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যেকোন পরিস্থিতিতে আপনাদের পাশে আছেন এবং থাকবেন ইনশাআল্লাহ।আপনারা সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দেশ ও দেশের জনগণের জন্য দোয়া করবেন।
প্রিয় দেশবাসী, আপনারা সবই জানেন, সবই দেখেছেন। এখন হয়তো সব কিছু অনুধাবন করতে পারছেন, কী পরিস্থিতিতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছিলেন। ষড়যন্ত্রকারীরা আরো লাশ চেয়েছিল। তিনি চাননি আর কোনো বাবা-মায়ের বুক খালি হোক।
তাই সময়ের প্রয়োজনে এই সাময়িক পদক্ষেপ নিয়েছেন। আপনারা দেখেছেন, মহামান্য আদালতের রায় শিক্ষার্থীদের সব দাবির পক্ষেই গিয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও আমাদের সরকার তাদের সব দাবি মেনে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। নিহত সব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, আহতদের বিনা খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। তারপরও কেন এই অরাজকতা, এত হত্যা, এত ধ্বংসযজ্ঞ করা হলো? কারণ, এর পেছনে ছিল ক্ষমতা দখলের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এক ষড়যন্ত্র। আপনারা দেখেছেন, ১৬ জুলাই থেকেই ছাত্রদের আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে কিভাবে দেশের রাজনৈতিক অপশক্তি ও বিদেশি এজেন্টরা কিভাবে হত্যা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এমনকি ছাত্রদের ওপর ৭.৬২ রাইফেল ব্যবহার করে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতিকে অগ্নিগর্ভ করে তোলা হয়। কিভাবে ঢাকা শহরে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। কিভাবে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, বৌদ্ধ মঠে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। কত নিষ্ঠুরভাবে পুলিশ ও সাংবাদিক হত্যা এবং মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক কর্মীদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। পাঁচই আগস্ট কিভাবে বাঙালি জাতির মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার, জাতির পিতার স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ধ্বংস করা হয়েছে।
বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন জাতীয় সংসদ ভবন ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান বিচারপতির বাসভবন, নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সরকারি, বেসরকারি অফিস-আদালত বাসভবন পোড়ানো ও লুটপাট করা হয়েছে। আপনারাই ভেবে দেখুন, এসব সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে কোটা আন্দোলনের কী সম্পর্ক ছিল। যে পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে, পরিকল্পিতভাবে কিভাবে তাদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে এবং ৪৫০টি থানা ও অস্ত্রাগার লুট করা হয়েছে। নিষ্ঠুরভাবে একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা পুলিশ অফিসারকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। কতজন পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে এই সংখ্যাও জাতির সামনে এখনো সরকার প্রকাশ করছে না। এর সবই ছিল ক্ষমতা দখলের একটি ষড়যন্ত্র। তখন সরকার আরো কঠোর হলে হয়তো আরো লাশ পড়ত, আরো অনেক বাবা-মায়ের বুক খালি হতো। তাই মানুষের জান-মাল রক্ষায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। প্রিয় দেশবাসী, আপনারা ইতিমধ্যেই শুনেছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে এই অবৈধ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, এই আন্দোলন এক দিনে সৃষ্টি হয়নি। এর পেছনে দীর্ঘ পরিকল্পনা ছিল এবং এর ম স্টারমাইন্ড হিসেবেও একজনকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অনেক দিনের পরিকল্পনার ফসল নাকি তার এই সরকার। এ থেকে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে এটা ছাত্রদের কোটার আন্দোলন ছিল না। তাই সব দাবি মেনে নেওয়ার পরও তারা পরিকল্পিতভাবে সারা দেশে অরাজকতা চালিয়েছে। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি দেখে আপনারাও নিশ্চয়ই এখন অনুধাবন করতে পারছেন। আপনারা বুঝতে পারছেন, কেন সেন্টমার্টিন দ্বীপকে সংরক্ষিত করে কার্যত জনগণের যাতায়াতের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কেন পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিকল্পিতভাবে একের পর এক সহিংসতা তৈরি করা হচ্ছে! বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আপনাদের আশ্বস্ত করছে, আমাদের বুকে এক বিন্দু রক্ত থাকতে বাংলাদেশের মাটিতে অন্য কোনো দেশের ঘাঁটি হবে না। এই দেশ ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ও আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে কেনা। এই দেশ বাঙালির ২৪ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। অন্য কোনো দেশের পতাকা এই মাটিতে উড়তে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধ হবে, স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ।
প্রিয় দেশবাসী, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। আপনারা দেখেছেন, সারা দেশে কিভাবে শিক্ষকসমাজকে অপমান করা হয়েছে। এমনকি শিক্ষকদের জুতার মালা পরিয়ে প্রহার করার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। শিক্ষকদের শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন ছাত্ররা, শিক্ষকদের চেয়ার দখল করে সেখানে শিক্ষার্থীরা বসে আছে। এটা কি আমাদের সংস্কৃতি? শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করার যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই সংস্কৃতি কেন নষ্ট করা হয়েছে? কাদের স্বার্থে নষ্ট করা হয়েছে? অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ, আপনারা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচান। শিক্ষার্থীরা এখন থাকবে ক্লাস ও শিক্ষাঙ্গনমুখী । কিন্তু এখনই তাদের সচিবালয় এবং ক্ষমতামুখী করে পরিকল্পিতভাবে কেন ধ্বংস করা হচ্ছে? জাতি ধ্বংসের এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না।
আপনারা দেখেছেন, আল্লাহর পবিত্র ঘর মসজিদও ভাঙচুর ও লুটপাটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। খোদ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে পর্যন্ত লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এমনকি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজে খুতবারত অবস্থায় কিভাবে ভাঙচুর, হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সবই করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে, স্থিতিশীলতা রক্ষার নামে বাইরের কোনো দেশকে বাংলাদেশে ঘাঁটি তৈরির সুযোগ করে দেওয়া।
প্রিয় দেশবাসী, পাঁচই আগস্টের পর দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যেভাবে নির্মম হত্যাকাণ্ড, অত্যাচার ও নির্যাতন চালানো হয়েছে তা খুবই ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা। নির্বিচারে তাদের উপাসনালয়, ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা ধন্যবাদ জানাই, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের, তারা প্রতিবাদ করেছেন। ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। আপনারা দেখেছেন, শান্তির ধর্ম ইসলাম যারা এই দেশে প্রচার ও প্রসার করেছেন, সেই পীর-আউলিয়াদের মাজার কিভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। এসব কিসের লক্ষণ? এই সব কিছুর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার অবশ্যই করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের উপর্যুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নতুবা উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় এই অবৈধ ইউনূস সরকারকেই বহন করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বলব, দেশে এ পর্যন্ত সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ড , লুটতরাজ, ভাঙচুর, আগুন সন্ত্রাস, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, অবৈধ দখলের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে, সর্বোচ্চ পেশাদারি দিয়ে দোষীদের বিচার নিশ্চিত করুন। নতুবা আপনারাও এর দায় থেকে মুক্তি পাবেন না।
প্রিয় দেশবাসী,আপনারা দেখেছেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ এবং দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার জন্য কত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে প্রায় পঁচিশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতে উন্নীত করেছিলেন। শুধু সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে আজ দেশের মানুষ বিদ্যুতের অভাবে কষ্ট করছে। এই কয়দিনেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অথচ সেই দিকে কোনো নজর নেই, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে অবৈধ ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগ নিধনেই বেশি ব্যস্ত।
আপনারা দেখছেন, প্রশাসনে কিভাবে পরিকল্পিতভাবে অসন্তোষ তৈরি করা হচ্ছে। ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করায় কতজন আনসার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে তা কোনো মিডিয়াও প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছে না।
বেতন-ভাতা নিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকরা আন্দোলন করায় ইতিমধ্যে দুজন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই আপনারা দেখবেন, আমাদের মা-বোনদের পথে-ঘাটে কিভাবে অপমান, অপদস্ত করা হচ্ছে। নারী-শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। দিনদুপুরে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এর কোনো প্রতিকার নেই। এর কোনো কিছুই মিডিয়ায়ও প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই সরকার মিডিয়া অফিস দখলে ইতিমধ্যে বিশ্বরেকর্ড করেছে। এই পর্যন্ত সারা দেশে দেড় শতাধিক সাংবাদিকের নামে হত্যা মামলা দিয়েছে। তিন শতাধিক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেছে। এরাই আবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বড় বড় কথা বলে।
প্রিয় দেশবাসী, সম্প্রতি ড. ইউনূস বাংলাদেশের ইতিহাসে রিসেট বাটন দিয়ে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলছেন। যা খুবই আপত্তিজনক এবং নিন্দনীয়। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলার জন্য যতই রিসেট দেন না কেন, দেশের মৌলিক ও অস্তিত্বের ইতিহাসগুলো মুছার ক্ষমতা ওনার নাই। মুছতে পারলে তো বাংলাদেশই থাকবে না। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, ত্রিশ লাখ শহীদ, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা, জাতির পিতা হচ্ছে বাংলাদেশের মৌলিক ভিত্তি, আমাদের জাতিগত অস্তিত্বের জায়গা। দেশকে তিনি শাসন-শোষণ যা-ই করুন, এসব গৌরবময় অধ্যায় মেনে নিয়েই করতে হবে।
প্রিয় দেশবাসী, আপনারা দেখেছেন পাঁচ আগস্টের পর সারা দেশে সহস্রাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কিভাবে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। চাঁদাবাজি, বসতভিটা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও নির্যাতন করা হচ্ছে। সবই হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। সাধারণ মানুষও চাঁদাবাজি ও নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। হ্যা, কেউ যদি অপরাধী হয়, দেশের আইন অনুযায়ী এর বিচার হোক। আমাদের সরকারও দলীয় অনেক অপরাধীকে বিচারের আওতায় এনেছিল। সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে সারা দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা তৈরি করেছিলাম। অপরদিকে এই অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখলের পরপরই দেশের সকল শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত সব জঙ্গিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী প্রহরায় মুক্তি দিয়ে আরো বেশি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কারণ সন্ত্রাসীরা বুঝে গেছে, অপকর্ম করলে তাদের কোনো শাস্তি হবে না। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, সাধারণ মানুষসহ আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা বন্ধ ও হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে এবং এখনই এই নারকীয় অত্যাচার, নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। কেউ যদি মনে করেন অত্যাচার, নির্যাতন করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিবেন তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে, এই দেশের জন্মের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক। দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ এর স্বমহিমায় ফিরে আসবে, দেশের অসমাপ্ত উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে। ইনশাআল্লাহ!
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
মামুন/
পাঠকের মতামত:
- প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মানতে হবে যেসব শর্ত
- মাইন্ডসেট নিয়ে যা বললেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী
- দুই কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং সম্পন্ন
- নাহিদ ইসলামকে কাদের সিদ্দিকীর সরাসরি চ্যালেঞ্জ
- সূচকের উত্থানে চলছে লেনদেন
- বিয়ের আগেই ‘ডিভোর্স চুক্তি’ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর
- দুর্বল ব্যাংক ধুঁকছে, ২০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত
- স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সন্তানসহ দুধ দিয়ে গোসল যা জানা গেল
- ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত, শুল্ক নিয়ে অনিশ্চয়তা
- রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও অপসারণ প্রক্রিয়ায় যা বলা আছে
- ধেয়ে আসছে ভয়াবহ হ্যারিকেন, ঘন্টায় গতি ২৬০ কিমি
- যেসব ভুলে কড়া ডায়েটেও কমছে না ওজন
- সাবেক সেনাপ্রধানকে নিয়ে ইকবালের ভয়ঙ্কর সতর্কবার্তা ফাঁস
- ১০ কোটি ডলার রিজার্ভ চুরির রহস্য ফাঁস!
- শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় আসছে বড় পরিবর্তন
- উপদেষ্টা ফারুকীর অসুস্থতার সর্বশেষ খবর
- তিন কোম্পানির ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা
- অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ: চূড়ান্ত ১৬ দল
- শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় ডিএসইর সতর্কবার্তা
- নীরব থেকেও রাজনীতিতে বড় বার্তা দিলেন তারেক রহমান
- ১৭ আগস্ট বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের আজকের টাকার রেট
- জাবেদ পাটোয়ারীর আইজিপি পদ পাওয়ার কৌশল ফাঁস!
- বিদেশে সব মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ
- দুই সন্তানকে নিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ঢাবি শিক্ষার্থীর
- জুলাই সনদে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠনের প্রস্তাব
- ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, নিয়োগ হবে যেভাবে
- কক্সবাজারে অসুস্থ উপদেষ্টা ফারুকী, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফিরলেন ঢাকায়
- ডিএসইর অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে বাড়ছে হতাশা
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ কোম্পানির শেয়ার
- ভালোবাসারে কেউ ‘দাবায়া রাখতে পারবা না’: সংগীতশিল্পী সায়ান
- হজ কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার অনুমতি পেলো ৩৩ ব্যাংক
- ছাত্রী হলে তল্লাশিতে পুরুষ কর্মচারীর উপস্থিতি, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের ঝড়
- ট্রাম্প ও পুতিন বৈঠকের পরই ইউক্রেনে ড্রোন হামলা চালাল রুশ বাহিনী
- সৌদিতে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে ১১ প্রবাসী গ্রেপ্তার
- আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে বিএনপির দাপট
- ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল—প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
- টাকার বিনিময়ে মুজিবকে নিয়ে তারকাদের পোস্ট—গুজব নাকি সত্য?
- ১০০ কোটি রুপির গাড়ী নিয়ে ফের আলোচনায় নীতা আম্বানি
- জনগণের ইচ্ছায় সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছি: প্রধান উপদেষ্টা
- গুজব ও গুঞ্জন নিয়ে সেনাপ্রধানের ভাষ্য
- আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
- ৭ কারণে আপনার জমি রেকর্ডে উঠবে না
- সেনাবাহিনী প্রধানের জোরালো ঘোষণা
- যেভাবে ভারত সফরে রাজি করানো হলো মেসিকে
- বাংলাদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি করতে চায় ভারত
- বিতর্কিত নির্বাচন দেশকে অনিশ্চিত পথে ঠেলে দেবে: সালাহউদ্দিন
- পুতিনের মাথার উপর বোমারু বিমান, ভয় দেখালেন’ ট্রাম্প
- ‘জনগণ নির্বাচনমুখী থাকলে নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই’
- চলতি সপ্তাহে ৭ কোম্পানির এজিএম
- চলতি সপ্তাহে আসছে চার প্রতিষ্ঠানের ইপিএস-ডিভিডেন্ড
- আপনার ট্যাক্স ফাইল কি অডিটে? দেখুন এনবিআরের নতুন তালিকা
- ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ধাক্কা
- সেই চীনা নাগরিকের বিষয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
- এক্সিম ব্যাংকের অভিনব ঋণ আদায় সাড়া ফেলেছে ব্যাংকপাড়ায়
- ফ্লোর প্রাইসের উপরে লেনদেন হলো বেক্সিমকোর শেয়ার
- ৬ ব্যাংকের ফরেনসিক নিরীক্ষার প্রস্তাব বাতিল করল সরকার
- সামিট পাওয়ারের বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বিএসইসি শেয়ার কেনা-বেচার জন্য এখন আর ফোন করে না
- ২০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- যারা বাজার তুলেছিল, তারাই বাজার ঝরাচ্ছে
- শেয়ারবাজারে ব্লকচেইন— স্বচ্ছতা ফেরানোর নতুন দিগন্ত
- দুই শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৫ ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণের যাত্রা শুরু
- আল-আরাফাহ ব্যাংকে দুর্নীতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ দাবি
- পতনের স্রোতেও তিন শেয়ারের বড় টান
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর
- প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মানতে হবে যেসব শর্ত
- মাইন্ডসেট নিয়ে যা বললেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী
- নাহিদ ইসলামকে কাদের সিদ্দিকীর সরাসরি চ্যালেঞ্জ
- স্ত্রীকে তালাক দিয়ে সন্তানসহ দুধ দিয়ে গোসল যা জানা গেল
- রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও অপসারণ প্রক্রিয়ায় যা বলা আছে
- ধেয়ে আসছে ভয়াবহ হ্যারিকেন, ঘন্টায় গতি ২৬০ কিমি
- সাবেক সেনাপ্রধানকে নিয়ে ইকবালের ভয়ঙ্কর সতর্কবার্তা ফাঁস
- শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় আসছে বড় পরিবর্তন
- নীরব থেকেও রাজনীতিতে বড় বার্তা দিলেন তারেক রহমান
- জাবেদ পাটোয়ারীর আইজিপি পদ পাওয়ার কৌশল ফাঁস!
- বিদেশে সব মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ
- দুই সন্তানকে নিয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ঢাবি শিক্ষার্থীর
- জুলাই সনদে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠনের প্রস্তাব
- ফিরছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, নিয়োগ হবে যেভাবে
- কক্সবাজারে অসুস্থ উপদেষ্টা ফারুকী, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফিরলেন ঢাকায়