সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নৈশপ্রহরীর এতো সম্পদ!
নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের নৈশপ্রহরী জাহাঙ্গীর আলমের অর্জিত বিপুল অর্থবিত্ত নিয়ে চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। মাত্র এক হাজার ৭০০ টাকা বেতনে মাস্টার রোলে চাকরি করলেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিপুল অর্থবিত্তের মালিকানা নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে।
মাদারগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের কাছে কোটি টাকার জমিতে লাখ লাখ টাকা খরচ করে তৈরি করেছেন বিশাল এক বাড়ি। এছাড়া সরকারি খাসজমি দখল করে গরুর খামারসহ একাধিক পাকা বাড়ি করেছেন তিনি। ফসলি জমি, পুকুর কোনো কিছুরই অভাব নেই তার। সব কিছুই হয়েছে মাদারগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বদৌলতে।
১২ বছর আগে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অফিসারের খাবার রান্নার কাজ করতে গিয়ে তিনি মাস্টার রোলে চাকরি পেয়ে যান। এরপরই তার ভাগ্য খুলে যায়। রাতারাতি তিনি অফিসের সব ‘গোপন কাজের’ সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। রাতের অফিসে গোপন কাজগুলো তার হুকুমে চলে। যত অনৈতিক অবৈধ কাজ হয় সবকিছুর বখরা যায় তার কাছে। জমি রেজিস্ট্রি, দলিল রেজিস্ট্রির কমিশন, নকল উত্তোলনসহ সব রকম কাজ তাকে ছাড়া করা যায় না। তাকে ‘দ্বিতীয় সাবরেজিস্ট্রার’ বলে থাকে অফিসের লোকজন।
নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েক জন দলিল লেখক ও অফিসের কর্মচারী গণমাধ্যমকে জানান, এ অফিসে জাহাঙ্গীরের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তার সুপারিশে কয়েক জন প্রভাবশালীর ছেলেদের নকল নবিশের চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়ে তিনি নিজের হাতকে শক্তিশালী করেছেন। কেউ তাদের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করলে তারা হুমকি দিয়ে, মারপিটের ভয় দেখিয়ে সবার মুখ বন্ধ রাখে। তার সিন্ডিকেটের কয়েক জনের কাছে পুরো সাবরেজিস্ট্রি অফিস জিম্মি হয়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি উপজেলার সুখনগরী গ্রামে, নদী ভাঙনের পর তিনি উপজেলা সদরে পালপাড়ায় আশ্রয় নেন। এক সময় তিনি দিনমজুরি করতেন, বাসাবাড়িতে কামলার কাজ করতেন। পরে উপজেলার বিভিন্ন অফিসে ছোটখাটো ফরমায়েসি কাজ করতে থাকেন। পরে তার ঠাঁই হয় উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে। সেখানে ব্যাচেলর অফিসারদের রান্নাবান্না ও ঘর মোছার কাজ করতেন।
এক পর্যায়ে তত্কালীন এক সাবরেজিস্ট্রার তাকে অফিসের ছোটখাটো কাজ করাতে শুরু করেন। এক সময় তিনি মাস্টার রোলে ঐ অফিসের নৈশপ্রহরীর কাজ পান। বেতন ছিল ৩০০ টাকা। বর্তমানে তার বেতন ১ হাজার ৭০০ টাকা।
সাবরেজিস্ট্রি অফিসে যোগ দিয়েই তিনি নেমে পড়েন অবৈধ কাজকারবারে। এক এক করে অফিসের সব কাজ হাতিয়ে নেন তিনি। দিনদিন সম্পদের পরিমাণও বাড়তে থাকে তার। নিজ নামে এবং আত্মীয়স্বজনসহ অনেকের নামে সম্পদ গড়েছেন তিনি।
সুখনগরীতে সরকারি খাসজমি দখল করে সেখানে গরুর খামার গড়ে তুলেছেন, কয়েক বছর আগে স্থানীয় ব্যবসায়ী আতাউর রহমান আবু তালুকদারের কাছ থেকে উপজেলা কমপ্লেক্সের কাছে কোটি টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করেন তিনি। এখানেও জমির দাম কম ও ভুয়া শ্রেণি দেখিয়ে কম মূল্যে জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এই দলিলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। ঐ জমিতে পাঁচতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন তিনি। দোতলা পর্যন্ত কাজ হয়েছে।
এছাড়া পালপাড়ায় আরো একটি দোতলা বাড়ি রয়েছে তার। গ্রামের বাড়িতে রয়েছে একাধিক ঘর, বাগান, গরুর খামার, পুকুর, কয়েক একর ফসলি জমি। একজন নৈশপ্রহরীর এত সম্পদ দেখে গ্রামবাসী হতবাক।
তারিক/
পাঠকের মতামত:
- বৈশ্বিক আলোচনায় নেই বাংলাদেশের শেয়ারবাজার: ড. ফরাসউদ্দিন
- সোনার দাম রেকর্ড ছুঁই ছুঁই
- ২৭ বীমা কোম্পানির হিসাব নিয়ে বিএসইসি’র লাল সংকেত
- এডিএন টেলিকমের ডিভিডেন্ড অনুমোদন
- জেনেক্স ইনফোসিসের প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- খেলাপি ঋণে নাজুক ব্যাংক খাত, ব্যতিক্রম ১৭ ব্যাংক
- যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: তারেক রহমান
- এই অথর্ব কমিশনের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়: নাহিদ
- ১৭৬ কোটি টাকার রাজস্ব আত্মসাৎ, অভিযুক্ত ৭
- বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র
- অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের সময় বাড়লো
- ৫ দিনের রিমান্ডে সাংবাদিক আনিস আলমগীর
- ভারতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন হাসনাত
- রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি, ১৪ কোটি ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- এমপি প্রার্থীদের আ-গ্নে-য়াস্ত্র লাইসেন্সে নতুন নীতিমালা
- আইপিএল মিনি নিলাম: কবে, কোথায়-দেখুন দলগুলোর বাজেট
- নতুন যুগের সূচনা করে রেনাটা'র প্রেফারেন্স শেয়ারের লেনদেন শুরু
- বাংলাদেশ বনাম নেপাল: খেলাটি শেষ, জেনে নিন ফলাফল
- শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে ১০ হাজার কোটি টাকার ইকুইটি ফান্ডের প্রস্তাব
- সংকটাপন্ন হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের পথে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
- গ্রেপ্তার দেখানো হলো আনিস আলমগীরকে
- ১৫ ডিসেম্বর ব্লকে ৬ কোম্পানির বড় লেনদেন
- ১৫ ডিসেম্বর লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১৫ ডিসেম্বর দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১৫ ডিসেম্বর দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- প্রত্যাশা জাগিয়েও শেষ বেলায় নেমে গেল সূচক
- মক নিলামে গুজরাটের পছন্দ তানজিম সাকিব
- এখনও ডিবি কার্যালয়ে আনিস আলমগীর
- হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে শাহবাগ ব্লকেড
- হজ মৌসুমে শিশুদের নিরাপত্তায় নতুন উদ্যোগ নিল সৌদি
- প্রিমিয়ার ব্যাংকের এমডি হলেন মনজুর মফিজ
- ঢাকায় পৌঁছেছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে হাদিকে
- এজিএম এর সময়সূচি পরিবর্তন করল ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস
- নির্ধারিত সময়েই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: সিইসি
- ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত তথ্য জানাল ম্যাকসন্স স্পিনিং
- সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশের ডাক দিল ইনকিলাব মঞ্চ
- হাদি হ-ত্যা-চেষ্টা, অবশেষে পল্টন থানায় মামলা
- প্রবাসী ভোটে নতুন ইতিহাস, নিবন্ধন ছাড়াল ৪ লাখ
- সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিনেত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
- শীতের শুরুতেই ঢাকার বাতাস বিপজ্জনক পর্যায়ে
- বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ, জিবিবি পাওয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা
- শেয়ারবাজারে নতুন দিগন্ত: প্রেফারেন্স শেয়ারের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু
- হাজার কোটি টাকার ব্যাংক জালিয়াতি: ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- ওসমান হাদিকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি
- দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি
- ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব, যা বলল দিল্লি
- ইসির নির্দেশ, ছোট-খাট ভুলে বাতিল হবে না মনোনয়ন
- ই-হু-দিদের উৎসবে হা-মলা, নি-হ-ত ১০
- হাদির ওপর হা-মলার ঘটনায় আরও দুইজন গ্রেফতার
- মির্জা আব্বাসকে নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগে মামলা
- চড়া সুদে আমানত টানবে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক
- দুই বছরের মধ্যেই কেনিয়ায় মুনাফার মুখ দেখল স্কয়ার ফার্মা
- সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক: দুই লাখ করেও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহকরা
- টেক্সটাইল শিল্পের কফিনে শেষ পেরেক মারে আ.লীগ
- ডিএসই’র এক ব্রোকারেজ হাউজের লাইসেন্স বাতিল
- শেয়ারবাজারে নতুন দিগন্ত: প্রেফারেন্স শেয়ারের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু
- ব্যাংকের শেয়ার কারসাজিতে তিন বিনিয়োগকারীর বিশাল জরিমানা
- ‘এ’ থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামল তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- ১০০ কোটি টাকা লাভের কোম্পানির ৮৬ কোটি টাকা লোকসান
- তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানির অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কায় নিরীক্ষক
- ডিএসইর কাছে ৭ হাজার বিনিয়োগকারীর ৬৮ কোটি টাকা দাবি
- শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ১৫ সংবাদ
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ১ম ওয়ানডে খেলা: ম্যাচটি সরাসরি দেখুন এখানে
- কারখানা বন্ধ, প্রতিবেদন নেই ৪ বছর; তবু শেয়ারদর দ্বিগুণ
- শেয়ারবাজারের কোম্পানির নতুন নেতৃত্বে রিয়াদ–ইশতিয়াক





.jpg&w=50&h=35)







.jpg&w=50&h=35)
