ঢাকা, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

তলবের আগেই ব্যাংক থেকে মতিউরের আট কোটি উত্তোলন

২০২৪ জুলাই ০৭ ০৬:১৪:২৬
তলবের আগেই ব্যাংক থেকে মতিউরের আট কোটি উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ছেলের ছাগলকাণ্ডকে কেন্দ্র করে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের ব্যাংক হিসাবে ১২ কোটি টাকার হদিস মিলেছে। তবে এর মধ্য তলবের আগেই ব্যাংক থেকে তড়িঘড়ি করে ৮ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন তিনি।

এরপরও ব্যাংকে বর্তমানে আছে মাত্র ৪ কোটি টাকা। এসব টাকা লেনদেনে তিনি ১১৫টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করেছেন। কোনো কোনো হিসাবে ২-৫ বার লেনদেন করেই বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) পর্যলোচনায় উঠে এসেছে মতিউরের ব্যাংক হিসাবের এসব তথ্য। এগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

ঈদুল আজহার আগ থেকে ছেলের ছাগলকান্ডের খবর প্রকাশ হওয়ার পর মতিউর ও তার পরিবারের দেশে-বিদেশে বিপুল সম্পদের তথ্য প্রকাশ হতে থাকে। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার ও পরিবারের সদস্যদের সম্পদের খোঁজে কাজ শুরু করে।

গত ২৫ জুন দুদকের অনুরোধে মতিউর রহমান, তার দুই স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। পাশাপাশি শেয়ারবাজারের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিএফআইইউ’র তথ্য অনুযায়ী, ১০ জুন আলোচিত মতিউর রহমানের ব্যাংক হিসাবগুলোতে প্রায় ১২ কোটি টাকা ছিল। পরে ছেলের ১৫ লাখ টাকার ছাগল ক্রয়ের বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ১০ থেকে ২০ জুনের মধ্যে তিনি ব্যাংক থেকে তড়িঘড়ি করে ৮ কোটি টাকা তুলে নেন। এরই মধ্যে বিএফআইইউ থেকে ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হলে বাকি চার কোটি টাকা তুলে নেওয়ার সুযোগ পাননি।

এদিকে সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ি, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে এখন পর্যন্ত ১৬টি বিও হিসাবের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মতিউর রহমানের নামে চারটি, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে দুটি, প্রথম পক্ষের ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে দুটি, প্রথম পক্ষের মেয়ে ফারজানা রহমান ঈপ্সিতার নামে তিনটি ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলীর নামে পাঁচটি বিও হিসাব রয়েছে। তবে তার তিন সন্তানের নামে এখন পর্যন্ত কোনো বিও হিসাবের হদিস মেলেনি।

দুদকের চিঠি পাওয়ার পর বিএসইসি শেয়ারবাজারের তথ্য সংরক্ষণকারী এই প্রতিষ্ঠানকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিও হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয়। এর ফলে এসব বিও হিসাব ব্যবহার করে এখন আর কোনো লেনদেন করা যাবে না।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে