ঢাকা, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

যে তিন কারণে এমপি আনারকে খুন করা হয়

২০২৪ জুন ০৬ ১২:৪৩:৫৩
যে তিন কারণে এমপি আনারকে খুন করা হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার খুনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামিরা। এর মধ্যে রয়েছে অভিযুক্ত শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, শিমুল ভূঁইয়ার ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া ও কলকাতায় জিহাদ হাওলাদার।

আসামিরা এমপি আনারকে খুনের পেছনে তিন কারণ উল্লেখ করেছে। জবানবন্দি ও ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আনার খুনের কারণগুলো।

আসামি শিমুল ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, আনার খুনের মূল পরিকল্পনাকারী পলাতক আখতারুজ্জামান শাহিন। তার সঙ্গে আনারের হুন্ডি কারবার নিয়ন্ত্রণ ও সীমান্তে স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল।

এছাড়া শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে চরমপন্থা ও রাজনৈতিক আদর্শগত বিরোধ ছিল। তবে এর আগেও আনারের সঙ্গে শিমুলের রয়েছে রাজনৈতিক বিরোধ। এই বিরোধের জেরে আনারকে খুনের জন্য শাহিন ও শিমুল ভূঁইয়া দফায় দফায় বৈঠক করে হত্যার ছক চূড়ান্ত করেন।

আনারকে হত্যা করার জন্য গত ৩০ এপ্রিল কলকাতায় পৌঁছান আখতারুজ্জামান শাহিন। শাহিনের সঙ্গে কলকাতায় যান বান্ধবী শিলাস্তি রহমান ও শিমুল ভূঁইয়া। সবাই ওঠেন আখতারুজ্জামানের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে। শিলাস্তি নিজে খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করলেও ঘটনার দিন তিনি ওই ফ্ল্যাটেই ছিলেন বলে জবানবন্দিতে বলেছেন।

আনার হত্যার আরেক আসামি শিমুলের ভাতিজা তানভীর গত ৬ মে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কলকাতায় যান। সেখানে সল্টলেক ও নিউ টাউনের মাঝামাঝি এলাকায় ত্রিশিব হোটেলে ওঠেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী এমপি আনারকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এমপি আনার কলকাতা যান ১২ মে। সেখানে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। পরদিন তাকে প্রলুব্ধ করে নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটে নেয়া হয়। তখন ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন শিলাস্তি, শিমুল, তানভীর, সহযোগী জিহাদ হাওলাদার, সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী।

খুনের আগে কলকাতার নিউমার্কেট থেকে পলিথিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা হয়।শিলাস্তি এসব কেনার কারণ জানতে চেয়েছিলেন। তারা শিলাস্তিকে বলেছেন, এসব সামগ্রীর মান বাংলাদেশের চেয়ে ভালো, তাই কেনা হচ্ছে।

কলকাতার ওই ফ্ল্যাটে আনারকে বালিশ দিয়ে খুন করা হয়। পরে লাশ টুকরো টুকরো করা হয়। জবানবন্দিতে তানভীর নিজেই বলেছেন, তিনি বালিশে চাপ দেন। এই ঘটনায় জিহাদ হাওলাদারকে কলকাতায় এবং সিয়ামকে নেপালে আটক করা হয়। সিয়ামকে ফেরাতে ঢাকা থেকে পুলিশের একটি তদন্ত দল গত শনিবার নেপালে গেলেও সিয়ামকে ফেরানোর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

শেয়ারনিউজ, ০৬ জুন ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে