ঢাকা, রবিবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

সেন্টমার্টিনে বেনজীরের জমি থেকে রাতারাতি সাইনবোর্ড উধাও

২০২৪ জুন ০৩ ০৯:২৮:০৭
সেন্টমার্টিনে বেনজীরের জমি থেকে রাতারাতি সাইনবোর্ড উধাও

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের নামের সাইনবোর্ড পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা সেন্টমার্টিন দ্বীপের জমি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। জানা গেছে, দ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলে রাস্তার পাশে তার নামে এক একর ৭৫ শতাংশ জমি রয়েছে। এটি একটি বড় গেট সহ কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। মাটিতে পাথরের স্তূপ।

তবে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর সাইনবোর্ডটি সরিয়ে নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, বেনজীরের জমিগুলো দেখাশোনা করেন সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রহমান।

সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। জানা যায়, বেনজীরের নামে সেন্টমার্টিনের জিনজিরা দ্বীপ মৌজার ১০৩০ নম্বর খতিয়ানের ১৭৮৬ দাগে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ, একই দাগে ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ, ৪৫ শতাংশ, ৩৫ শতাংশ ও ৪০ শতাংশ জমি আছে।

এ ছাড়া ১৭২৫ দাগে আছে ২২ শতাংশ জমি। জমির নামজারিতে মালিকের নাম দেওয়া হয়েছে হারুনুর রশিদের পুত্র বেনজীর আহমেদ। ঠিকানা ব্যবহার করা হয় গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার হোল্ডিং নম্বর ১৬৬। তার জমির খতিয়ানের নামজারি ও জমাভাগ মামলা নম্বর ছিল ৩৫৫ (আই)/২০১৪-১৫। ১২/২/২০১৫ তারিখের আদেশ মতে খতিয়ানটি সৃজন করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়।

জমিটির বিক্রেতা স্থানীয় মৌলভী আব্দুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা। খতিয়ানটিতে বেনজীরের মোট জমির পরিমাণ এক একর ৬৮ দশমিক ২৫ শতাংশ।

জানা গেছে, স্থানীয়রা জমিটি ‘বেনজীর স্যারের জমি’ হিসেবেই চেনেন। জমির সীমানা রক্ষার জন্য কোরাল পাথর তুলে এনে স্তূপ করে রাখা হয়। পাশাপাশি কংক্রিটের পিলার দিয়ে জমির চারদিকে সীমানা দেওয়া হয়। বানানো হয়েছে বড় একটি গেট, যা ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়াইসিএ আইন ১৯৯৫, বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ আইন এবং পরিবেশ আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি।

সেন্টমার্টিনে বেনজীরের জমির বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফফাত আলী বলেন, বেনজীর ২০১৫ সালে দ্বীপে জমি কিনেছেন। সে সময় জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছিলেন কিনা সেটা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। তবে বতর্মানে দ্বীপে জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া জমি বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে।

শেয়ারনিউজ, ০৩ জুন ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে