ঢাকা, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

দশ বছরে এসেছে এমপিদের করমুক্ত ৫২৪ গাড়ি

২০২৪ মে ২২ ০৯:২৪:৩৩
দশ বছরে এসেছে এমপিদের করমুক্ত ৫২৪ গাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সংসদ সদস্যরা (এমপি) গত ১০ বছরে ৫০০ টিরও বেশি গাড়ি করমুক্ত সুবিধায় এনেছেন। যার বেশিরভাগই বিলাসবহুল। এসব গাড়ি আমদানিতে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকার কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্কমুক্ত এই সুবিধা বাতিল করতে চায়। আগামী জুলাই থেকে সংসদ সদস্যদের ৪৩ শতাংশ কর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

২০২৩ সালের মে মাসে জাপানে তৈরি একটি নতুন টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার আমদানি করেন একজন সংসদ সদস্য। গাড়িটির আমদানি মূল্য দেখানো হয় ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

২০২১ সালের মডেলের গাড়িটিতে মোট শুল্ককর প্রায় ৮২৬ শতাংশ। এই গাড়িটি সাধারণ ভাবে আসছে এটিতে করের পরিমাণ হতো ১৪ কোটি টাকা। কিন্তু সংসদ সদস্যদের গাড়ি শুল্কমুক্ত হওয়ায় এতে কোনো কর দিতে হয়নি।

এনবিআরের হিসাবে, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধায় সংসদ সদস্যদের জন্য আনা হয়েছে অন্তত ৫২৪টি গাড়ি। যেগুলোর মূল্য দেখানো হয় ৩৯৮ কোটি টাকা। এসব গাড়ির ৪৫০ টিতেই কর হার ৮২৬ শতাংশ। সব মিলিয়ে গাড়িগুলোতে কর মাফ হয়েছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

বর্তমানে দাতা সংস্থা আইএমএফের চাপে আয় বাড়ানোর উপায় খুঁজছে এনবিআর। এরই অংশ হিসেবে এমপিদের গাড়িতে কর বসাতে চায় সংস্থাটি। মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিও।

গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘একটা হিসাব করা যেতে পারে, আজ পর্যন্ত যতজনকে দেওয়া হয়েছে, তারমধ্যে কতজন প্রথমেই কাগজটা পেয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন। কতজন সবচেয়ে দামি গাড়িটা এনে বিক্রি করে দিয়ে নিজের জন্য একটা ছোট গাড়ি কিনে ডিফারেন্সটাকে প্রফিট হিসেবে দেখিয়েছেন। আর কতজন আসলেই এটা এনে ব্যবহার করছেন।’

এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করা গাড়িতে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। এতে মোট কর হবে ৪৩ শতাংশ। যদিও বর্তমানে কর ৮২৬ শতাংশ পর্যন্ত। এনবিআরের এমন সিদ্ধান্ত সংসদ সদস্যদের অনেকেই ইতিবাচকভাবে দেখছেন।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘ট্যাক্স ফ্রি কোনো জিনিস আলাদা করে এমপিদের জন্য থাকাই উচিৎ না। যেটা করা দরকার সেটা হচ্ছে, এমপিদেরকে বিনা পয়সায় রাষ্ট্র একটি গাড়ি দেবে। এটা কমদামি হোক বা যেভাবেই হোক। এই গাড়িতে করে এলাকার জন্য কাজ করবেন। উনি ৫ বছর থাকবেন এলাকার কাজ করবেন ওই গাড়িতে।’

সংসদ সদস্যদের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানি শুরু হয় ১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকারের সময়ে। সংসদের বিত্তবান সদস্যের সংখ্যা বাড়লেও, এ সুবিধা বহাল রাখে সব সরকারই।

শেয়ারনিউজ, ২২ মে ২০২৪

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে