ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

এমারেন্ড ওয়েলের অবস্থা মূল্যায়নের সময় বাড়িয়েছে বিএসইসি

২০২৩ ডিসেম্বর ০৩ ১৮:৩৪:৫৯
এমারেন্ড ওয়েলের অবস্থা মূল্যায়নের সময় বাড়িয়েছে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের উৎপাদন অবস্থা এবং অন্যান্য বিষয় মূল্যায়নের সময় বাড়িয়েছে।

এর আগে বিএসইসি গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে একটি কমিটি গঠন করে এক মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিল। এখন কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় বাড়িয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, কমিটি এমারল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের উৎপাদন ও পরিচালনার বর্তমান অবস্থা তদারকি করার জন্য কারখানার প্রাঙ্গণ এবং প্রধান কার্যালয়, হিসাব বই এবং রেকর্ড পরিদর্শন করবে।

জাপানের একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেড ২০২১ সালে এমারল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড অধিগ্রহণ করে। মালিকানা নেওয়ার পরে নতুন মালিকের ব্যবস্থাপনায় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে পুনরায় কোম্পানিটির উৎপাদন শুরু হয়।

প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তাদের ঋণ কেলেঙ্কারি, গ্রেপ্তার হওয়া এবং অবশেষে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় মূলধনের অভাবে ২০১৭ সাল থেকে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ থাকে।

জানা গেছে, শেরপুরের শেরীপাড়ায় অবস্থিত কারখানাটি বর্তমানে পুরোদমে চলছে। তবে গ্যাস সংকটের কারণে অপরিশোধিত তেল পরিশোধন প্রক্রিয়া কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে কোম্পানিটি রাইস ব্র্যান অয়েলের উৎপাদন বাড়াতে যমুনা এডিবল ওয়েলের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। চুক্তির আওতায় এমারল্ড অয়েল যমুনা ভোজ্যতেল প্ল্যান্টে অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করে তেল উৎপাদন করবে। উৎপাদনের অর্ধেক রপ্তানি করা হবে জাপানে।

চুক্তির পর এমারেন্ড তেল প্রতিদিন ৮০০ টন ধানের তুষ প্রক্রিয়া করতে সক্ষম হবে এবং দৈনিক তেল উৎপাদন হবে ১৬০ টন। মিনোরি এতে প্রয়োজনীয় ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল জোগান দেবে এবং যমুনা অয়েলের প্ল্যান্ট ব্যবহার করা হবে।

কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিদর্শন দল সম্প্রতি কারখানাটি পরিদর্শন করেছে এবং তারা মূল্যায়নের জন্য আরও এক মাস সময় বাড়ানোর নির্দেশনা পেয়েছে।

উল্লেখ্য, এমারেন্ড ওয়েলকে উৎপাদনে ফেরানোর জন্য বিএসইসি মিনোরি বাংলাদেশের অনুকূলে ৩ কোটি ১৫ লাখ শেয়ার ইস্যু করে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এই শেয়ারের বিপরীতে মিনোরি বাংলাদেম ৩১ কোটি ১৫ লখ টাকা শেয়ার মানি হিসাবে কোম্পানিটির হিসাবে ডিপোজিট করে। যার ফলে এমারল্ড অয়েলের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।

এছাড়াও, মিনোরি বাংলাদেশ সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে প্রায় ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার শেয়ার কিনেছে। যা এমারল্ড অয়েলের মোট শেয়ারের ৭.৮০ শতাংশ। কোম্পানিটিতে মিনোরি বাংলাদেশের আওতায় উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে বর্তমানে ৩৮.২৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এমারেন্ড ওয়েল ইন্ডাষ্ট্রিজ ২০০৮ সালে নিবন্ধিত হয়ে ২০১১ সালে স্পন্দন-ব্র্যান্ডেড রাইস-ব্র্যান অয়েল উৎপাদন শুরু করে। এরপর ২০১৪ সালে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে দুই কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে শেয়ারবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।

শেয়ারনিউজ, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে