ক্রীড়া প্রতিবেদক : এ ব্যপারে কোনো সন্দেহ নেই যে, নেইমার জুনিয়র ব্রাজিল ফুটবল দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। স্বাভাবিকভাবেই সব কোচই চাইবেন বিশ্বকাপ দলের মঞ্চে এমন একজন খেলোয়াড় থাকুক। তবে বলিভিয়ার বিপক্ষে আজকের ম্যাচে প্রথমে তার খেলা নিশ্চিত করা হয়নি, কারণ তিনি এখনও শতভাগ ফিট নন। কিন্তু মঞ্চ প্রস্তুত ছিল ব্রাজিলের হয়ে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখার এবং ব্রাজিলের রাজপুত্র তাই করে দেখালেন।

নেইমার তার নিজের দেশের মাটিতে দর্শকে ভরা স্টেডিয়ামে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের সম্ভবত সর্বশ্রেষ্ঠ কিংবদন্তি পেলের করা ৭৭ গোলের রেকর্ড ভাঙতে মাঠে নেমেছিলেন। সেটাই হলো, কিন্তু অনেক দেরীতে। ৬১তম মিনিটে সুসমন্বিত আক্রমণে স্কোরবোর্ডে উঠে আসেন এই সুপারস্টার। এই গোলের মাধ্যমে, কিংবদন্তি পেলেকে ছাড়িয়ে নেইমার ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা (৭৮) হন।

তবে, তিনি ১৭ মিনিটেই রেকর্ডটি অর্জন করতে পারতেন। পেনাল্টি পায় ব্রাজিল এবং সে পেনাল্টি নিতে সবসময়ই ভালো। কিন্তু কি বুঝে যেন আজই নিলেন দুর্বল এক শট। গোল ও রেকর্ড দুটো থেকেই বঞ্চিত হলেন এই সুপারস্টার। সুযোগ এসেছে কয়েকবার। সেটাও কাজ করেনি। প্রথমার্ধের শেষে, তিনি ডি এরিয়ার বাইরে থেকে চারজন ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে একাই এগিয়ে যান। শটও নিয়েছিলেন ঠিকঠাক। কিন্তু তাতে বাধা দেন বলিভিয়ার গোলরক্ষক।

তবে ৬১ মিনিটে আর সুযোগ হাতছাড়া হলো না। ডিবক্সের ভেতর অনেকটা জটলার মধ্যেই রদ্রিগোর পা ঘুরে বল আসে নেইমারের সামনে। ফার্স্ট টাইম শটে গোল করে রেকর্ডবুকে নিজের নাম লেখালেন নেইমার।

এর মধ্যে অবশ্য আরও তিনটি গোল উপহার দিয়েছে ব্রাজিল। পুচকে বলিভিয়ার সাথে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে দুর্দান্ত জয়ের পথে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ফার্নান্দো দিনিজের আজ দারুণ পরীক্ষা ছিল। সে পরীক্ষায় খুব ভালোভাবে পাস করেছে।

শেয়ারনিউজ, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩