ঢাকা, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

মাত্র ২৭ বছর বয়সেই ৯ হাজার কোটি টাকার মালকিন এই বাঙালী তরুণী

২০২৩ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৮:০৫:৫৪
মাত্র ২৭ বছর বয়সেই ৯ হাজার কোটি টাকার মালকিন এই বাঙালী তরুণী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাত্র ২৭ বছর বয়সে একজন বঙ্গতনয়া অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন। তার নাম অঙ্কিতি বোস। মাত্র ২১ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করে অঙ্কিতি। মাত্র চার বছরেই তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮০০ কোটিতে।

যখন একটি কোম্পানির ব্যবসা ১ কোটি মার্কিন ডলার ছাঁড়িয়ে যায় তখন এর নামকরণ করা হয় ইউনিকর্ন নামের কাল্পনিক প্রাণীর নামে। ইতিমধ্যেই অঙ্কিতির ফ্যাশন ই-কমার্স কোম্পানি জিলিংগো পেয়েছে। অঙ্কিতি, একটি ইউনিকর্ন কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, নির্বাচিত হওয়া সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় মহিলা।

বাঙালি পরিবারে জন্ম নিলেও অঙ্কিতি বোস বাংলার বাইরে বড় হয়েছেন। ২০১২ সালে তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, মুম্বাই থেকে অর্থনীতি এবং গণিত অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি আমেরিকান পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাকিনজির মুম্বাই শাখায় কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সেকোয়া ক্যাপিটালসের ব্যাঙ্গালোর অফিসে যোগ দেন। তেইশ বছর বয়সে বেঙ্গালুরুতেই বছর চব্বিশের ধ্রুব কপূরের সঙ্গে আলাপ তাঁর। আইআইটি গুয়াহাটি থেকে পড়াশোনা সেরে গেমিং স্টুডিয়ো কিউয়ি আইএনসি-তে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন ধ্রুব।

চাকরি ছেড়ে নিজের মতো কিছু করার স্বপ্ন ছিল দুজনেরই। প্রথমেই ই-কমার্স সাইট খোলার কথা মাথায় আসে তাঁদের। কিন্তু ভারতে তখন ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের মতো সংস্থা জাঁকিয়ে বসে। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে ওঠা যাবে না বুঝেছিলেন তাঁরা। তাই চিন্তাভাবনা জারি থাকে।

সে বছরই ব্যাঙ্কক বেড়াতে গিয়ে চোখ খুলে যায় অঙ্কিতির। সেখানকার চতুচক বাজারে ঢুকে স্থানীয় ডিজাইনারদের তৈরি পোশাক, জুতো, ব্যাগ এবং অ্যাকসেসরিজ ইত্যাদি নজর কাড়ে তাঁর। ভাষাগত সমস্যা থাকায়, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষে সেগুলি বাইরের লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না বুঝতে পারেন তিনি। তখনই মাথায় আইডিয়া আসে। দেশে ফিরে ধ্রুবের সঙ্গে আলোচনা সারেন অঙ্কিতি। চাকরি ছেড়ে ২১ লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে কাজে লেগে পড়েন তাঁরা।

তবে যাত্রা সহজ ছিল না। বাজার গবেষণা শেষ করতে তাদের প্রায় এক বছর লেগেছে। অঙ্কিতি ব্যাংককের বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনলাইন ব্যবসার প্রতি আগ্রহ তৈরি করে শুরু করেন। ব্যাঙ্গালোরে বসে ধ্রুব টেকনিক্যাল দিকটা সামলাতে শুরু করে। তারা দক্ষিণ এশিয়ার বাজার দখলে আগ্রহী ছিল। সেভাবেই কাজ শুরু করে। গত চার বছরে, জিলিংগো সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, চীন, কোরিয়া এবং কম্বোডিয়ার বাজার দখল করতে সফল হয়েছে। ভারত ও অস্ট্রেলিয়াতেও লেনদেন শুরু হয়েছে।

অঙ্কিতি, যিনি একসময় সিকোয়ার কর্মচারী ছিলেন, আজ তারাও জিলিংগোতে ২২ কোটি ৬০ লক্ষ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছেন। বিনিয়োগটি সিঙ্গাপুরের তামসেক হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিটেডের হাতে রয়েছে। এই মুহূর্তে জিলিংগোর সিইও হলেন অঙ্কিতি। তিনি সিঙ্গাপুরে কোম্পানির প্রধান কার্যালয় পরিচালনা করতেন। ধ্রুব ব্যাঙ্গালোরে ১০০ কর্মীকে নেতৃত্ব দেয়। তিনি কোম্পানির চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও)।

শেয়ারনিউজ, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

লাইফ স্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফ স্টাইল - এর সব খবর



রে