ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Sharenews24

বিএনপি-জামায়াত জনগণের কাছে না, দূতাবাসে যায় : আইনমন্ত্রী

২০২৩ আগস্ট ১৬ ১২:০১:১৫
বিএনপি-জামায়াত জনগণের কাছে না, দূতাবাসে যায় : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জনগণের কাছে যায় না, তারা রাজনীতির জন্য যায় আমেরিকান, বিট্রিশ দুতাবাসসহ বিভিন্ন দুতাবাসে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কসবা উপজেলা সুপার মার্কেট চত্বরে কসবা উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, বিএনপি মনে করে দূতাবাসের ঘাড়ে উঠে আপনাদের শাসন করবে। তারা আপনাদের দুই পয়সার দাম দেয় না। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের নিয়ে রাজনীতি করে এবং আপনাদের উন্নয়ন করে। আমেরিকা কয়েকজন র‌্যাব কর্মকর্তার ওপর সেংশন দিয়ে জনগণকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল। অথচ বিএনপির সরকারের আমলে আমেরিকার পরামর্শে র‌্যাব তৈরি হয়েছিল। র‌্যাবের ওপর সেংশন দিয়ে কাজ না হওয়ায় চালু করেছে ভিসা নীতি।

আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পূর্ণ অবৈধ। সংবিধানের বাইরে কোনো নির্বাচন হবে না। তাই শেখ হাসিনার অধিনেই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং শেখ হাসিনাই থাকবেন সরকার প্রধান। তিনি দৈনন্দিন কাজ করবেন এবং নির্বাচন কমিশনের অধিনে নির্বাচন পরিচালনা করবেন, কমিশনের অধিনেই চলবে সব কার্যক্রম।

তিনি বলেন, তারেক জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নাকে খদ ও বন্ড দিয়ে বিদেশ চলে গেছেন। বিএনপি বলল নির্বাচন করবে তাই ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে শুধু কসবা-আখাউড়া নির্বাচনী এলাকায় ৪ জনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউই নির্বাচনে দাঁড়াইল না। লন্ডন বসেই তারেক জিয়া সবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করার জন্য একটি কমিশন তৈরি করা হবে। সেই আইন প্রায় ড্রাফট হয়ে গেছে। জনগণ সহযোগিতা করলে সেই আইন পাস করা হবে। আমরা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের সত্যিকারের ইতিহাস জানাতে চাই। আমরা কোন প্রতিহিংসার জন্য তাদের চিহ্নিত করবো না। বাঙালির সামনে সত্য ইতিহাস উপস্থাপন করার জন্য তাদের চিহ্নিত করব।

মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে অডিনেন্স জারী করে বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচার রহিত করে দেয়। যা পাকিস্তান শাসকরাও করে নাই। শুধু তাই না জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাবরি দিয়েছেন এবং পালানোর জন্য বিমান দিয়েছেন। জিয়া মুসলিম লীগার ও রাজাকারদের নিয়ে বিএনপি গঠন করেছেন এবং রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছে। এরশাদ ফারুক এবং রশিদকে ফ্রিডম পার্টি করে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন।

খালেদা জিয়া খুনি রশিদকে বিরোধীদলীয় নেতা বানিয়েছেন এবং তার আমলে বিচার বলে কিছুই ছিল না বরং তিনি রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) ক্ষমতায় এসে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস তৈরি করেন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের ২২জন নেতাকর্মীদের হত্যা করেছেন। তার আমলেই উলফাদের জন্য আনা ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তারা বাংলাদেশকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমাদের প্রতিশোধ হবে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা বানিয়ে দেখাব, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু কোনো দিন মরবে না। বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশে মারা যায় না।

শেয়ারনিউজ, ১৬ আগস্ট ২০২৩

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে