ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

মার্জারের ৫ ব্যাংক: ১৬ হাজার কর্মীর বেতন কাটার আশঙ্কা

২০২৫ নভেম্বর ২৭ ০০:২৩:৪৬
মার্জারের ৫ ব্যাংক: ১৬ হাজার কর্মীর বেতন কাটার আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চরম আর্থিক দুরবস্থার কারণে একীভূত হতে যাওয়া পাঁচ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের কর্মচারীরা বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা হ্রাসের সম্মুখীন হতে পারেন। ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত আসছে।

ব্যাংকগুলো হলো— ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক। বর্তমানে এই ব্যাংকগুলো নিজেদের ১৬ হাজার কর্মী এবং কর্মকর্তাদের নিয়মিত বেতন পরিশোধ করতেও হিমশিম খাচ্ছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকগুলোর প্রশাসক এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তারল্য সংকট মেটাতে এই ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা তারল্য সহায়তার আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন করে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা তারল্য সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বৈঠকে প্রশাসকগণকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, এই ব্যাংকগুলোর দুর্বল আর্থিক অবস্থার কারণে কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা দ্রুত কমাতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এই পাঁচটি ব্যাংককে এ পর্যন্ত মোট ৩৫ম হাজার ৩০০ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে, তবে ব্যাংকগুলো সেই অর্থ এখনও পরিশোধ করতে পারেনি।

এই পাঁচটি ব্যাংকের প্রায় ১৬ হাজার কর্মী রয়েছেন এবং কর্মীদের বেতন কাটার প্রক্রিয়া দ্রুত কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন একজন প্রশাসক। ইউনিয়ন ব্যাংকের একজন কর্মী জানান, তাদের অ্যাকাউন্টে বেতন জমা হলেও তারল্য সংকটের কারণে তারা দ্রুত সেই অর্থ উত্তোলন বা ব্যবহার করতে পারছেন না, যার ফলে কর্মীরা চরম আর্থিক দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

সাম্প্রতিক এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চিত করেছে, এই পাঁচটি ব্যাংক গ্রাহকদের জমা রাখা অর্থ থেকেই কর্মীদের বেতন পরিশোধ করছে। উদাহরণস্বরূপ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ হাজার ৩০৮ কোটি টাকা নেগেটিভ অপারেটিং ইনকাম রেকর্ড করেছে, যেখানে তাদের বেতন ও ভাতা বাবদ খরচ ছিল ৬৫০ কোটি টাকা। এর অর্থ হলো, কর্মীদের বেতন আমানতকারীদের তহবিল থেকেই দিতে হচ্ছে। গত বছর ব্যাংকটি মোট ৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা নিট লোকসান করেছে। এছাড়া, গত ২৬ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকটির চেয়ারম্যানকে লিখেছিল যে, পরিদর্শনে তারা 'গুরুতর সুশাসনের ব্যর্থতা' খুঁজে পেয়েছে।

এই পাঁচ ব্যাংক একীভূত হয়ে এই মাসেই সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি নামে একটি নতুন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হিসেবে চালু করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে