ঢাকা, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

পল্লবীতে আটক মোক্তার ডিবিতে মৃত, কারণ জানাল পুলিশ

২০২৫ নভেম্বর ২১ ১৮:০৭:০৯
পল্লবীতে আটক মোক্তার ডিবিতে মৃত, কারণ জানাল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক মো. মোক্তার হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তির ডিবি (গোয়েন্দা শাখা) হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটকের সময় উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করেছিল এবং অসুস্থ হয়ে পড়লে দুই দফায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হত্যা মামলার পটভূমি গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর পল্লবীতে কয়েকজন অস্ত্রধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন গোলাম কিবরিয়া। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পল্লবী থানায় ৫ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে মামলাটির তদন্তভার ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। আটক অভিযান ও জনতার মারধর ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নজরুল, মাসুম ও জামান নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং জানায়, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি মো. মোক্তার হোসেনের (৪০)-এর কাছে রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডিবির একটি দল রাজধানীর পল্লবীর একটি গ্যারেজে গিয়ে মোক্তারকে আটক করার চেষ্টা চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোক্তার পালানোর চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে কৌশলে আটক করা হয়। ডিএমপি জানিয়েছে, এই সময় উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করে। পরে মোক্তারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পল্লবীর একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে ডিবি।

দুই দফায় হাসপাতালে নেওয়া মোক্তার হোসেনকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তিনি অসুস্থবোধ করেন। তখন তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কিছু ওষুধ দিয়ে তাকে ছাড়পত্র (ডিসচার্জ) দিলে তাকে আবার ডিবি কার্যালয়ে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে খাবারের জন্য ডাকলে মোক্তার কোনো সাড়া দেননি। কোনো সাড়া না পাওয়ায় তাকে দ্রুত আবার ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মোক্তার হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। ডিএমপি এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কিবরিয়া হত্যা মামলায় আটক ব্যক্তির ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর কারণ ও পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছে।

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে