নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যনির্বাহী সদস্য উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়াকে ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার দিন ধানমণ্ডিতে পুলিশের সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার দৃশ্য অনলাইনে ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি ভাইরাল হয়ে ওঠে।

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষপূর্ণ পরিস্থিতিতে রাফিয়ার আচরণ নিয়ে নেটমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও তার পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত শিক্ষিকা ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া মোনামি। ঘটনাটি নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে মোনামি লেখেন,“সত্যি কথা বলতে কী, তাকে এতটা টার্গেট করা হচ্ছে মূলত এই কারণে যে, সে দৃশ্যমানভাবে নিজের বিশ্বাস ও ধর্মীয় পরিচয়কে ধারণ করে চলে বিন্দুমাত্র দ্বিধা ছাড়াই। একই ধরনের assertiveness বা প্রতিবাদ যদি কোনো নন-হিজাবি মেয়ের কাছ থেকে দেখা যেত, তাহলে আমাদের তথাকথিত ‘সুশীল’ মহল তাকে ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরত, স্ট্যাটাস দিত, বাহবা দিত।”

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নের প্রচলিত ধারণা এতটাই সংকীর্ণ যে নির্দিষ্ট ‘চয়েস-ভিত্তিক ফেমিনিজম’-এর বাইরে থাকা নারীর প্রতিবাদকে খুব সহজেই অগ্রাহ্য করা হয়।

ঢাবির এই সহকারী প্রক্টর পুলিশের আচরণের সমালোচনা করে লেখেন,“ঘটনার সময় পুলিশ সদস্যদের আচরণ ছিল সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য, অসম্মানজনক এবং নির্যাতনমূলক। কিন্তু রাফিয়া সেই অপমানজনক পরিস্থিতিতে দৃঢ়ভাবে জবাব দিয়েছে। সেটি নারীর ক্ষমতায়ন হিসেবে দেখা হচ্ছে না, আবার পুলিশের আচরণকেও অত্যাচার বা অপব্যবহার হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে না। কারণ তার feminist expression আমাদের দেশে প্রচলিত বাছাই করা ফেমিনিজমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”

রাফিয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর অনেকে তাকে সমর্থন জানালেও সমালোচনাও করা হচ্ছে ব্যাপকভাবে। পুলিশের সঙ্গে তার তর্ক, ভাষা ও আচরণের ব্যাখ্যা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলছে। এই প্রেক্ষাপটেই ঢাবির আলোচিত শিক্ষিকা ও নারী অধিকারবিষয়ক নানা আলোচনায় পরিচিত মোনামির এই বক্তব্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

মুসআব/