ঢাকা, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

ডিবি গারদে আটকানোর আসল কারণ জানালেন সাংবাদিক সোহেল

২০২৫ নভেম্বর ১৯ ১৫:৩৭:৪২
ডিবি গারদে আটকানোর আসল কারণ জানালেন সাংবাদিক সোহেল

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সেক্রেটারি ও দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন এডিটর মিজানুর রহমান সোহেলকে রাতের আঁধারে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সাংবাদিককে এমনভাবে তুলে নেওয়ার ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।মুক্তি পাওয়ার পর বাসায় ফিরে সোহেল নিজেই তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন— সরকারের একজন উপদেষ্টার নির্দেশেই তাকে আটক করা হয়েছিল।

বুধবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সোহেল লেখেন—“আলহামদুলিল্লাহ। বিনা অপরাধে প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা ডিবি হেফাজতে থাকার পর তারা আমাকে স্বসম্মানে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে।”

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে তাকে বলা হয় ডিবি প্রধান কথা বলতে চান। এরপর ৫–৬ জন ডিবি সদস্য জোর করে তাকে বাসা থেকে বের করে নিয়ে যায়।

সোহেল লিখেছেন—“ডিবি অফিসে নিয়ে গিয়ে আসামির খাতায় আমার নাম লেখা হয়। জুতা–বেল্ট খুলে রেখে সাধারণ আসামিদের সঙ্গে আমাকে গারদে রাখা হয়। কেন আটক করা হলো—আমি জানতাম না, যাঁরা আমাকে তুলে এনেছেন তাঁরাও কিছুই বলতে পারেননি।”

দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি বুঝতে পারেন—“সরকারের একজন উপদেষ্টার ইশারায় মাত্র ৯ জন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে মনোপলি ব্যবসার সুযোগ দেওয়ার জন্যই আমাকে আটক করা হয়েছিল।”

সোহেল দাবি করেন, তার সঙ্গে সংগঠনের সেক্রেটারি আবু সাঈদ পিয়াসকেও আটক করা হয় এবং তিনি এখনও ডিবিতে আছেন।

বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর) নিয়ে বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)-এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেখানে সোহেল ছিলেন মিডিয়া পরামর্শক।

তার দাবি—“প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করাই ছিল মূল টার্গেট। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। কোনো কিছুই চাপা থাকেনি; বরং দেশের সবাই বিষয়টি জেনে গেছে।”

সোহেলের বক্তব্য—“এনইআইআর দেশের মুক্ত বাণিজ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মাত্র ৯ জন ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে ২৫ হাজার মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে পথে বসানো হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সাধারণ মানুষ, গ্রামীণ ক্রেতা, প্রবাসীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।”

তিনি আরও দাবি করেন—“এই ৯ জনের একজন ওই উপদেষ্টার স্কুলবন্ধু।”

সোহেল ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন—“একটা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বললেই কি সরকার ভয় পায়? প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করতেই আমাকে গভীর রাতে তুলে নিতে হলো? যারা মুখে ‘বাকস্বাধীনতা’র কথা বলেন, তারাই কি আমাকে বাকরুদ্ধ করতে চাইলেন?”

তিনি লিখেছেন—“আমাকে আটক করার ঘটনা প্রকাশ হতেই অনেকে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। স্ট্যাটাস দেন, বিবৃতি দেন, সংবাদ প্রকাশ করেন। এই সমর্থন ও আওয়াজের কারণেই আমি দ্রুত মুক্তি পেয়েছি বলে আমি বিশ্বাস করি।”

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে