ঢাকা, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দুই প্রধান দলের ধোঁয়াশা

২০২৫ নভেম্বর ১০ ১৩:৪২:৩৯
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে দুই প্রধান দলের ধোঁয়াশা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সাত দিনের সময় দিয়েছিল। সোমবার সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে, কিন্তু দলগুলো এখনও সমঝোতায় আসতে পারেনি, ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে অচলাবস্থার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

বিএনপি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা শুধু সরকার বা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। অন্যদিকে, জামায়াতও বলেছে, সরকার যদি বিশেষ কোনো দলকে সুবিধা দিতে এই প্রক্রিয়া চালাচ্ছে, তাতে তার দায় সরকারের।

জুলাই সনদ ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়েছিল প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও বিভিন্ন দলের নেতাদের দ্বারা। সনদে থাকা সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হবে, এবং সফল হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার করবে। তবে গণভোট কখন হবে—নির্বাচনের সাথে একসাথে, নাকি আগে—এ বিষয়ে সরকারের উপর সিদ্ধান্ত দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে।

মুখ্য মতবিরোধ:

বিএনপি: গণভোট অনুষ্ঠিত হোক সংসদ নির্বাচনের দিনেই, এবং নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

জামায়াত: গণভোট নির্বাচন আগেই আয়োজন করা হোক।

দলগুলো একমত না হওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে তিনটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে:

দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার জন্য সপ্তাহব্যাপী সময় দেওয়া।

পর্দার অন্তরালে দুই প্রধান দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা।

সমাধান ব্যর্থ হলে সরকারের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রস্তুতি।

বিরোধের মূল কারণ:

কমিশনের সুপারিশে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

গণভোটের তারিখ নির্ধারণে সরকার ও কমিশনের পক্ষপাতী আচরণের অভিযোগ।

দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকায় রাজনৈতিক চাপ তৈরি।

দলীয় সূত্র বলছে, পর্দার অন্তরালে সমঝোতার চেষ্টা চলছে, এবং দুই দলের সম্মতি পেলেই গণভোট ও নির্বাচনের সমন্বয় চূড়ান্ত হতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকারের আচরণ নির্বাচন প্রলম্বিত বা ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অংশ হতে পারে। কিন্তু, এখন দায়িত্ব সরকার ও কমিশনের ওপর—যে বিষয়গুলো দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা এবং গণভোটের আয়োজন করা।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে