ঢাকা, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
Sharenews24

জামায়াতের নায়েবের 'তাওয়া গরম' বক্তব্য নিয়ে যা বললেন ড. মির্জা গালিব 

২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১০:১৬:৪১
জামায়াতের নায়েবের 'তাওয়া গরম' বক্তব্য নিয়ে যা বললেন ড. মির্জা গালিব 

নিজস্ব প্রতিবেদক : জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের সাম্প্রতিক ‘তাওয়া গরম’ মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় তুলেছে। বক্তব্যে তিনি শাসকগোষ্ঠীর একাধিক উপদেষ্টাকে ‘ষড়যন্ত্রে লিপ্ত’ বলে ইঙ্গিত করে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তার ভাষ্য, "তাওয়া গরম হচ্ছে, গরম হলে বুট দিলে ফুটতে সময় লাগবে না।"

এই মন্তব্য নিয়ে একটি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ তুলে ধরেন।

বক্তব্যের পটভূমি

এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ড. তাহের অভিযোগ করেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের একাধিক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসনে "বিশেষভাবে বসানো" হয়েছে। এর মাধ্যমে "নীল নকশার নির্বাচন" আয়োজনের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ তার। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যদি সংশ্লিষ্টরা সতর্ক না হন, তাহলে কারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, তা তিনি জনগণের সামনে প্রকাশ করবেন। এমনকি তার হাতে সেই উপদেষ্টাদের কণ্ঠ রেকর্ড এবং গোপন বৈঠকের তথ্য রয়েছে বলেও দাবি করেন।

ড. গালিবের প্রতিক্রিয়া: বাগাড়ম্বর না, প্রমাণ দিন

আলোচনার প্রতিক্রিয়ায় হার্ভার্ডের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব বলেন,“রাজনীতিবিদদের বক্তব্যে অনেক সময় রেটোরিক বা বাগাড়ম্বর থাকে। এটি রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টির একটি কৌশল হতে পারে।”

তিনি মনে করেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন আসছে বিধায় বিএনপি ও জামায়াত — উভয়ই নির্বাচনে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে চাইছে। তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

তবে ড. তাহেরের ‘কণ্ঠ রেকর্ড’ সংক্রান্ত দাবির বিষয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন,“এই রেকর্ড কীভাবে সংগৃহীত হয়েছে? এগুলোর আইনগত বৈধতা রয়েছে কি না, সেটি স্পষ্ট নয়। যদি এটি ব্যক্তিগত আলাপ হয়, তাহলে তা প্রচলিত আইন এবং ইসলামী মূল্যবোধ অনুযায়ী সংরক্ষিত। এর প্রচার অনৈতিক এবং অবৈধ।”

তিনি যোগ করেন, যদি রেকর্ডে থাকা তথ্য জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট হয় — যেমন, কারও সরকারি দায়িত্ব পালনে দুর্নীতির প্রমাণ থাকে — তাহলে সেটি প্রকাশের যৌক্তিকতা থাকতে পারে, তবে সেটিও সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হওয়া উচিত।

“অস্পষ্ট ইঙ্গিত নয়, সুনির্দিষ্ট তথ্য দিন”

ড. গালিব ডা. তাহেরকে তার বক্তব্যে আরও স্বচ্ছ ও তথ্যভিত্তিক হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন,“এই ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। যদি কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তবে তার প্রমাণসহ উপস্থাপন করা উচিত।”

তিনি আরও বলেন, ডা. তাহেরের কাছে যদি এমন তথ্য-উপাত্ত থাকে, তাহলে তার গোয়েন্দা সংস্থার সম্পৃক্ততা আছে কিনা — এই প্রশ্নটিও গুরুত্বপূর্ণ।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে