ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
Sharenews24

সুখবর দিল আইএমএফ: ১৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন

২০২৫ জুন ২৪ ০৭:২৬:০২
সুখবর দিল আইএমএফ: ১৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে সুখবর দিয়ে জানিয়েছে, চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

সোমবার (২৩ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ১৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ পাবে।

২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদী ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল। এই ঋণ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করা।

তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আইএমএফের কাছে এই ঋণ চেয়েছিল।

আইএমএফের এই ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণ সহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ হলো আইএমএফের একটি নতুন তহবিল। যেটি থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পেয়েছিল। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে। সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।

ঋণের বাকি ছিল ২৩৯ কোটি ডলার। এবারের ১৩০ কোটি ডলার পাওয়া গেলে অবশিষ্ট থাকবে ১০৯ কোটি ডলার। তবে এই কর্মসূচির সঙ্গে নতুন করে আরও প্রায় ৭৬ কোটি ডলার যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও শর্ত পরিপালন নিয়ে, বিশেষত টাকা-ডলার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এপ্রিল মাসে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসে ঋণচুক্তির শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে। তবে তখন উভয় পক্ষ কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড় স্থগিত থাকে।

পরে গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফের মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসব আলোচনার ফলস্বরূপ ১২ মে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছে উভয় পক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করে।

এরপর ১৪ মে আইএমএফ জানায়, সমঝোতা সম্পন্ন হয়েছে এবং নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদনের পর জুন মাসে ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে।

মিজান/

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে