নিজস্ব প্রতিবেদক: আগের কর্মদিবসে বড় ধরনের পতনের পর আজ সোমবার (২৩ জুন) দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনের শুরুতে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেলেও শেষ ভাগে উত্থানের দিকে মোড় নেয়। দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক আজ সাড়ে ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে, যা বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত।

আজ ডিএসইতে মোট ২৭৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের ২৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেনের তুলনায় কিছুটা বেশি। এদিন লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২২০টির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমেছে এবং ৭৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

তবে সূচক বৃদ্ধি পেলেও লেনদেনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে তেমন বাড়েনি। কারণ তালিকাভুক্ত প্রায় সব শেয়ার দামই তলানিতে অবস্থান করছে। বিনিয়োগকারীদের কাছে যেসব শেয়ার রয়েছে, হয়তো কোন শেয়ারেই তারা মুনাফায় নেই। যে কারণে সূচক বাড়লেও তারা শেয়ার ছাড়তে পারে না এবং বাজারের লেনদেনও বাড়ে না।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আজ লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানের দাম বৃদ্ধি ও পতনের সংখ্যা প্রায় সমানে সমান ছিল। তবে আগের দিনের তুলনায় সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। আগের কর্মদিবসে ৩১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার লেনদেন হলেও আজ তা কমে ১১ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এটি সিএসইতে বিনিয়োগকারীদের কিছুটা নিষ্ক্রিয় মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়।

যদিও বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল নয়, আজকের সূচকের উত্থান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এনেছে। তবে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কারণগুলো আগামী দিনগুলোতে বাজারের গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বাাজর সংশ্লিষ্টরা।

মিজান/