নিজস্ব প্রতিবেদক : গুম সংক্রান্ত কমিশন সম্প্রতি জানিয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ লাইন্সগুলোতে গোপন বন্দিশালার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, যা অবাক করার মতো একটি বিষয়। কমিশন জানিয়েছে, তারা বগুড়ার পুলিশ লাইনে এমন একটি গোপন বন্দিশালা খুঁজে পেয়েছে, যেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে আটক বন্দিদের এনে নির্যাতন করা হত।

এই বন্দিশালাগুলোর অনেকটাই ১০-১২ বছরের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে এবং কমিশনের ধারণা, এমন আরো গোপন বন্দিশালা বাংলাদেশে রয়েছে। কমিশনের সদস্য নূর খান জানিয়েছেন, বগুড়া পুলিশ লাইনে পাওয়া গোপন বন্দিশালায় বন্দিদের নিয়ে বিভিন্ন নির্যাতন চালানো হত এবং এর ফলে কিছু বন্দির মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে থাকতে পারে।

কমিশনের সভাপতি, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মইনুল ইসলাম চৌধুরী আরও জানিয়েছেন যে, বর্তমানে ৩৩০ জন গুম হওয়া ব্যক্তির অনুসন্ধান চলছে এবং কমিশনে মোট ১,৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১,০০০টি যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৮০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে এবং ৪৫ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তার বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।

কমিশন জানিয়েছে, ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশইন হওয়া ১৪০ জনের তথ্য পাওয়া গেছে, তবে কোনো গুম হওয়া ব্যক্তির নাম নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে, ২২ ডিসেম্বর গুম হওয়া মোহাম্মদ রহমত উল্লাহকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

এনামুল/