ঢাকা, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

কারাগারে বসে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের বিষয়ে যা বললেন ফারুক খান

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯ ১৩:৩৭:১৫
কারাগারে বসে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের বিষয়ে যা বললেন ফারুক খান

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফারুক খান বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী। ২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, ফারুক খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করা হয়, যদিও তিনি তখন কারাগারে বন্দী ছিলেন। এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়, কারণ এটি প্রশ্ন উত্থাপন করে যে একজন বন্দী কীভাবে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন। পরে ফারুক খান এই স্ট্যাটাসের বিষয়ে দাবি করেন, "কারাগার থেকে কীভাবে স্ট্যাটাস দিবো? কারাগার থেকে কি স্ট্যাটাস দেওয়া যায়? এটা মিথ্যা কথা।"

২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর রাতে ফারুক খানকে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক হন।

তার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল মতিঝিল থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা থেকে উদ্ভূত। ২০১৫ সালের নির্বাচনি প্রচারণার সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা তার গাড়ির বহরের ১২-১৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়, এবং নেতাকর্মীদের মারধর করে। হামলার সময় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন। এছাড়া, হামলাকারীরা ইট-পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ পথচারীদেরও আহত করে এবং পুলিশ ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে সহিংসতা বৃদ্ধি পায়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, হামলার সময় আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় জোট এবং এর অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ২০০-৩০০ নেতাকর্মী দেশি অস্ত্র ব্যবহার করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা হামলার সময় মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয় এবং মুক্তিপণ দাবি করে। এই ঘটনার পর, ব্যান্ড শিল্পী মো. শাহরিয়ার ইমাম আসিফ এই হামলার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন।

১৯ ফেব্রুয়ারি, ফারুক খানকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার শুনানি শেষে, আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন। রিমান্ড শেষে, তাকে আবার হাজতখানায় নেওয়া হবে।

আরিফ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে