ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

শফিকুল আলমের ফেসবুক পোস্টে হইচই: ‘দুঃখিত, আপা! এটি শেষ!’

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৬ ১১:৪৪:৪২
শফিকুল আলমের ফেসবুক পোস্টে হইচই: ‘দুঃখিত, আপা! এটি শেষ!’

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সম্প্রতি তার ফেসবুক ভেরিফায়েড আইডিতে একটি পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি আগস্ট মাসে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরে সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

তিনি লিখেছেন, অনেকেই তখন সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন এবং পুরনো বাংলা প্রবাদ ‘খাল কেটে কুমির আনার ব্যবস্থা হচ্ছে’ স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও, অধ্যাপক ইউনূস তার সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলেন এবং মানবাধিকার দপ্তরকে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন। শফিকুল আলম জানাচ্ছেন, ইউনূস বিশ্বাস করতেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরই এমন তদন্ত করতে সক্ষম।

আলম আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে সবাই জানত, জুলাই ও আগস্টে কী ঘটেছিল, কারা হত্যার নির্দেশ দিয়েছে, পুলিশের ভূমিকা কী ছিল এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের ভূমিকা কী ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন থাকা জরুরি ছিল। যদি সেই প্রতিবেদন অপ্রিয় সত্য প্রকাশ করে, তাতেও তাদের আপত্তি ছিল না। অবশেষে, জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ওপর চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও লেখেন, ‘শেখ হাসিনার রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনাও এখন শেষ। যদি আওয়ামী লীগ এবং তাদের বিশাল কর্মীবাহিনী, যারা হত্যাযজ্ঞে জড়িত ছিল না, দলকে পুনর্জীবিত করতে চায়, তবে একমাত্র উপায় হলো—শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে প্রত্যাখ্যান করা এবং জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।’

শফিকুল আলম ১৯৯০ সালের ঘটনা স্মরণ করে লেখেন, ‘সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ যখন ক্ষমতাচ্যুত হন, তার বয়স ছিল ৫৯ বছর এবং তাকে দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরশাসক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, এরশাদ পতনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করে, তবে পরে কিছু নেতারা তার প্রতি সমর্থন দেখিয়েছিলেন।

প্রেসসচিব আরও বলেন, ‘এতে অবশেষে এরশাদ রাজনীতিতে ফিরে আসেন এবং প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির ‘কিংমেকার’ হিসেবে প্রভাবিত ছিলেন।’ তিনি শেখ হাসিনার শাসনামলের তুলনা দেন, যেখানে তার সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আন্তর্জাতিকভাবে রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দল আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হয়েছেন, যা এরশাদের শাসনামলের তুলনায় অনেক বেশি প্রভাবিত করেছে।

অবশেষে, তিনি যোগ করেন, ‘অত্যন্ত দুঃখিত, আপা! এটি শেষ!’

এই পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং শফিকুল আলমের মন্তব্য এবং জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ফারহানা/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে