ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

আ.লীগের শীর্ষ নেতাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার শঙ্কা

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৬ ১০:৫৯:৫৭
আ.লীগের শীর্ষ নেতাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনযোগ্যতা সম্পর্কিত একটি বড় ঘটনা নিয়ে আলোচনা করছে। নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান বিচার কার্যক্রম এবং তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা,সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মুখোমুখি। যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো রায় আসে এবং তারা দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তারা আজীবন নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য হয়ে যাবেন।

এ ছাড়া, তারা ভোটার তালিকা থেকেও বাদ পড়তে পারেন, কারণ যারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। কোনো ব্যক্তি যদি ভোটার না হন, তবে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

ট্রাইব্যুনাল থেকে কিছুকিছু মামলার রায় শীঘ্রই আসতে পারে, যা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের জন্য গুরুতর ফলাফল বয়ে আনতে পারে।

যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন, তারা শুধু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন না, তারা ভোটারও হতে পারবেন না।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এরই মধ্যে সুপারিশ করেছে যে, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা উচিত। তারা উল্লেখ করেছে যে, এর মধ্যে যদি কোনো নেতার বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ থাকে, তাহলে তাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হবে।

কমিশন এটি বলছে যে, আইসিটি আইনে অভিযুক্ত, ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেও তাদের নির্বাচনী অযোগ্যতা নিশ্চিত করা উচিত, এবং এ বিষয়ে আইন পরিবর্তন প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিএনপি, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা পুনরায় এই দাবি জানিয়েছে যে, আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার হওয়া উচিত এবং দলটি নিষিদ্ধ করা উচিত।

বাংলাদেশের সংবিধান এবং নির্বাচন আইন অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হন, তারা সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ বিষয়ে ৬৬ (২)(ছ) এবং ১৩(ঘ) ধারায় উল্লেখ রয়েছে।

ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে, যার ফলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না।

নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি মনে করেন যে, মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্তদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা উচিত, কারণ এর মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সমাজে যারা গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত এবং যারা এর দায় স্বীকার করেননি, তাদেরকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা উচিত।

নির্বাচনী সংস্কারের মাধ্যমে যদি আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরা নির্বাচন থেকে বাদ পড়েন, তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে।

ফারহানা/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে