ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

অনিয়মের মধ্যেই ইসলামী ব্যাংকে নতুন অনিয়ম!

২০২৫ জানুয়ারি ১৬ ১৭:২৫:২৫
অনিয়মের মধ্যেই ইসলামী ব্যাংকে নতুন অনিয়ম!

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে। আগের অনিয়ম শোধরানোর জন্য নতুন যে পর্ষদ গঠন করা হলো ব্যাংকটির, সেই পর্ষদেরই নতুন অনিয়ম শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিলের বিরুদ্ধে নতুন ঋণ অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টির ওপর তদন্ত চালিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খুঁজে পেয়েছে অনিয়মও। এরপর ১২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু গত বছরের ১০ ডিসেম্বর ট্রু ফেব্রিক্স লিমিটেডকে ২১০ কোটি টাকার ঋণের পুনঃতফসিল সুবিধা এবং ৪০ কোটি টাকার নতুন ঋণ অনুমোদন দেয় ব্যাংকের নির্বাহী কমিটি, যা অনুমোদনের অযোগ্য ছিল।

তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ঋণের পুনঃতফসিল ও নতুন ঋণের প্রস্তাব নির্বাহী কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার জন্য আবদুল জলিলকে দায়ী করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত অনুসারে, আবদুল জলিল গত ছয় বছরের বেশি সময় ধরে ট্রু ফেব্রিক্স লিমিটেড ও ইউনিফিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডে আর্থিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পরে ২৩ ডিসেম্বর ব্যাংকটি ঋণ পুনঃতফসিল ও নতুন ঋণ অনুমোদন বাতিল করে।

তবে ১০ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার ঘটনা বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে মারাত্মক অনিয়ম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রু ফেব্রিক্স লিমিটেডের মাধ্যমে ঋণের সীমা লঙ্ঘন করে ১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পণ্য সরেজমিনে পরিদর্শন না করা ও ব্যাংক ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা বিশ্লেষণ না করার বিষয়গুলো প্রমাণিত হয়েছে।

আবদুল জলিলের জন্য ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে একটি কক্ষ বরাদ্দ থাকাও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, আবদুল জলিল এক আত্মীয়কে ব্যাংকটির সহযোগী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ায় সেটিও ব্যাংকের স্বার্থবিরোধী হিসেবে দেখা হচ্ছে।

যদিও আবদুল জলিল জানিয়েছেন, শুধু তিনি নন, বরং পরিচালনা পর্ষদ ঋণ অনুমোদন করেছে। তিনি দাবি করেন, "এখানে কোনো অনিয়ম নেই, ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম রয়েছে।"

তিনি আরও জানান, বিষয়টি বর্তমানে পরিচালনা পর্ষদ খতিয়ে দেখছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ব্যাখ্যা দিতে ব্যাংকটি প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আরিফ/

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে