ঢাকা, বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

মতিউর কন্যা ইপ্সিতার আয়কর ফাইলে প্রকাশিত শতকোটি টাকার সম্পদের চাঞ্চল্যকর তথ্য

২০২৫ জানুয়ারি ১৫ ১০:২৭:৪৩
মতিউর কন্যা ইপ্সিতার আয়কর ফাইলে প্রকাশিত শতকোটি টাকার সম্পদের চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : মতিউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য এবং তার পরিবার এখন অনেক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মতিউর রহমানের মেয়ে, ফারজানা রহমান ইপ্সিতা, মাত্র ৩২ বছর বয়সে শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। ইপ্সিতা নিজেকে একজন মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবে পরিচয় দেন এবং তার পেশাগত জীবন শুরু করার পর এই বিশাল সম্পদ অর্জন করেছেন—যা অনেকের কাছে বিস্ময়কর।

ইপ্সিতার সম্পদের বিস্তারিত:

আয়কর নথি: ইপ্সিতা তার আয়কর ফাইলে ৪২ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য প্রকাশ করেছেন।

কোম্পানিতে বিনিয়োগ: তিনি ৫টি কোম্পানিতে মোট ৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোম্পানি হলো সোনালী সিকিউরিটিজ, সিনাজি ট্রেডিং, গ্লোবাল সুজ, ওয়ান্ডার পার্ক ও মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস।

সিনাজি ট্রেডিং লিমিটেডে: ৫০ হাজার শেয়ারের মালিকানা রয়েছে, যার মূল্য ৫ লাখ টাকা।

গ্লোবাল সুজ কোম্পানিতে: ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন।

ওয়ান্ডার পার্কে ১০ লাখ টাকা এবং মামুন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টসে ৪৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯০ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে।

আবাসিক সম্পদ: ইপ্সিতার নামে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বিলাসবহুল সাততলা বাড়ি রয়েছে, যার মূল্য আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা। আয়কর নথিতে এই বাড়ির মূল্য মাত্র ৫ কোটি টাকা হিসেবে দেখানো হলেও প্রকৃত মূল্য অনেক বেশি, যা অন্তত ৫০ কোটি টাকা।

ভূমি এবং জমি: নরসিংদী, গাজীপুর এবং ঢাকায় তার মালিকানাধীন জমি ও বাড়ির মূল্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা, তবে প্রকৃত মূল্য ৭০ কোটি টাকার বেশি।

বিদেশে সম্পদ: ইপ্সিতা কানাডায়ও একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিক, যেখানে তার বিলাসী জীবনযাপনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

মতিউর রহমানের দুর্নীতি এবং অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থের কারণে তার পরিবারের সদস্যদেরও সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত ইপ্সিতার বিশাল সম্পদ সঞ্চয়ের কারণ অনুসন্ধান চলছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "ইপ্সিতার মতো তরুণীর এত বিপুল সম্পদ অস্বাভাবিক এবং তার বাবার প্রভাবের কারণে তার আয়কর ফাইল এবং সম্পদ পরিদর্শন করা উচিত ছিল।"

এছাড়া, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি তার চাকরির সময়ে অবৈধ পথে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন এবং নানা কৌশলে তা বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। তার মেয়ে ইপ্সিতার নামে থাকা সম্পদ তারই প্রমাণ, যা অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশের পর, পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবিও উঠেছে এবং রাজস্ব বিভাগের পক্ষ থেকে অবিলম্বে তদন্ত চালানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

কেএইচ/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে