ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন আইনে বদলে যাবে ব্যাংক মালিকানা

২০২৫ জানুয়ারি ১৪ ১১:২২:০৭
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন আইনে বদলে যাবে ব্যাংক মালিকানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সরকার নতুন একটি বিশেষ আইন তৈরি করতে যাচ্ছে যা ব্যাংক শেয়ারের মালিকানা পরিবর্তন, একীভূতকরণ, অবসায়ন ও অধিগ্রহণ সম্পর্কিত সকল আইনি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে। এই আইনটি গঠিত হচ্ছে বিশেষত দেশটির পুঁজিবাজারের সংকট এবং দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিচালনায় অস্বচ্ছতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির ফলে উদ্ভূত উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে।

বাংলাদেশ ব্যাংক "ব্যাংক রেগুলেশন অ্যাক্ট" নামে একটি নতুন আইন খসড়া করেছে, যা ব্যাংক শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সহজ করবে। এই আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, ব্যাংক শেয়ারের মালিকানা হস্তান্তর বা একীভূতকরণে এখন থেকে মালিকের অনুমোদন লাগবে না। বরং কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বাংলাদেশ ব্যাংক) অনুমোদন করলে মালিকানা পরিবর্তন বা ব্যাংক মার্জ (একীভূতকরণ) করা যাবে। এটি নিশ্চিত করবে যে, ব্যাংক মালিকরা আইনি চ্যালেঞ্জ করলেও তা টিকবে না এবং নতুন মালিকদের আইনি সুরক্ষা থাকবে।

এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হল, সিলেটি ব্যাংকগুলোর মালিকানায় যারা রয়েছেন তাদের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে ব্যাংকগুলোর পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনা। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার মালিকদের অনিয়ম এবং ব্যাংক পরিচালনায় অস্বচ্ছতা মোকাবিলা করার জন্য এই আইনটি তৈরি করা হচ্ছে।

এছাড়া, যেসব ব্যাংকের মালিকরা ঋণ পরিশোধ বা কর পরিশোধে অনীহা প্রকাশ করেছেন, তাদের শেয়ার হস্তান্তর বা সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ নিতে এই নতুন আইন সাহায্য করবে।

ব্যাংক শেয়ার মালিকদের জন্য নতুন নিয়মে মালিকানা পরিবর্তন বা একীভূতকরণের সময়, তাদের শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ প্রথমে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবহার হবে, তারপর উদ্বৃত্ত টাকা মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া, ব্যাংক মার্জের ক্ষেত্রে নতুন ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদে কতজন পরিচালক থাকবে, এবং পুরানো ব্যাংকের পরিচালকদের মধ্যে কে পর্ষদে থাকবে তা এই আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।

আইনের আওতায় একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান গঠন করা হবে যা দুর্বল ব্যাংকগুলোর মালিকানা পরিবর্তন, একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণের কাজ করবে। এই আইনটি আমানতকারীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করবে। আমানতকারীরা ১ লাখ টাকা পর্যন্ত নিরাপদে ফেরত পাবেন, তবে যারা এর বেশি আমানত করেছেন, তাদের কী হবে তা নিয়েও বিশেষ আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।

নতুন আইনটি ভবিষ্যতে কোনো পুরানো মালিকের আদালতে মামলা করার সুযোগ থাকবে না, অর্থাৎ তারা মালিকানা ফেরত পেতে পারবেন না এবং নতুন মালিকের বিরুদ্ধে কোনো আইনি চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না। এই ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে যে, নতুন মালিকরা কোনো প্রভাবশালী ব্যাংক মালিকের শেয়ার কিনতে আগ্রহী হবেন এবং শেয়ার মালিকানার ক্ষেত্রে আইনি ঝুঁকি কমে যাবে।

এই বিশেষ আইন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা দেশের ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।

এম এন /

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে