ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

পালাল ভারতীয় ঠিকাদার, বন্ধ চারলেন প্রকল্পের কাজ

২০২৪ সেপ্টেম্বর ১০ ১০:১১:৪৯
পালাল ভারতীয় ঠিকাদার, বন্ধ চারলেন প্রকল্পের কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক : জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পলায়নের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-আখাউড়া মহাসড়কের চারলেন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ রেখে পালিয়ে যায় প্রকল্পে কর্মরত ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরাও।

এতে চট্টগ্রাম-সিলেট ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে যান চলাচলে দুর্ভোগ বেড়েছে। খানাখন্দে ভরপুর নির্মানাধীন মহাসড়কে মারত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিভিন্ন মাল ও যাত্রীবাহী যানবাহন। এতে সার্বক্ষণিক যানজট লেগে থাকার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটছে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা।

এদিকে প্রকল্পের কাজ আবার কবে নাগাদ শুরু হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, গত ২০১৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদনের পর ভারতীয় নমনীয় ঋণ এলওসির অধীনে ২০১৮ সালে তিনটি প্যাকেজে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত দু’লেন থেকে মহাসড়কটি চারলেনে উন্নয়ন কাজ শুরু করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। প্রকল্পটির কাজ শুরুর পর গত ২০১৯ এবং ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে প্রকল্পটির কাজ অনেকটাই থমকে যায়। পরে বালু সঙ্কটের কারণে আরো ছয় মাস বিলম্ব হয় প্রকল্পের নির্মাণ কাজ। এরই মধ্যে গত ২০২২ সালে প্রকল্পটির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছিল। এর মধ্যে প্যাকেজ-১-এর অধীনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের গোল চত্বর থেকে বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত একপাশের দুই লেনের কাজ মোটামুটি শেষ হয়েছে। প্যাকেজ-২-এর অধীনে বিশ্বরোড থেকে ধরখার পর্যন্ত এক পাশের কাজ অনেকাংশেই শেষ হয়েছে।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর বাইপাস, ঘাটুরা বিরাসার, পৈরতলা, রাধিকা ও উজানিসার এলাকায় মহাসড়কের একপাশে খানাখন্দ থাকায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। আর এ সড়কে চলাচলরত যানবাহন, চালক এবং যাত্রীদের চরম ভোগান্তি ভোগ করতে হচ্ছে।

আখাউড়া-আশুগঞ্জ ফোরলেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো: শামীম আহমেদ জানান, আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত চারলেন প্রকল্পটি তিনটি প্যাকেজে বাস্তবায়ন হচ্ছিল। তিনটি প্যাকেজেরই ঠিকাদার ছিলেন ভারতের এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ভারতীয়রা তাদের হাইকমিশনে নিরাপত্তার কথা বলে সবাই দেশে চলে গেছেন। তারা কবে ফিরবে এ ব্যাপারে কিছুই জানাননি। শ্রমিকরা চলে যাওয়ার পর থেকে আমাদের প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি বন্ধ আছে। কবে চালু হবে আমরা তা এখন বলতে পারছি না।

মো: শামীম আহমেদ আরো জানান, আমাদের প্যাকেজ-১-এর আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত মহাসড়কের ৬২ শতাংশ এবং বিশ্বরোড থেকে ধরখার বাজার পর্যন্ত ৫২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ যেহেতু ভারতীয় ঠিকাদারের অধীনে ছিল, তাই রাস্তার বর্তমানে মেরামতের দায়িত্বও তাদের ছিল। যেহেতু তারা নেই, তাই রাস্তা মেরামত করার মতো জনবল বা যন্ত্রপাতি আমাদের হাতে নেই। আমরা রাজস্ব খাত থেকে টাকা দিয়ে মানুষের ভোগান্তি কমানোর জন্য চেষ্টা করছি।

এস/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে