ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

প্রশ্নফাঁসে ১২ বছরে অন্তত ৬০ কোটি টাকা কামিয়েছেন খলিলুর

২০২৪ জুলাই ১২ ১১:০০:৪৬
প্রশ্নফাঁসে ১২ বছরে অন্তত ৬০ কোটি টাকা কামিয়েছেন খলিলুর

নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে বিসিএসসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার পিএসসির ডেসপ্যাচ রাইডার খলিলুর রহমানের (৩৮) সম্পদের পাহাড় দেখে তাজ্জব বনে গেছেন মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির কর্মকর্তারা।

গত ১২ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি থেকে অন্তত ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের মধ্যে পিএসসির ডেসপ্যাচ রাইডার খলিলুর রহমান (৩৮) গত ১২ বছরে অন্তত ৬০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) আদালতে দেওয়া জবানবন্দি ও সিআইডিকে দেওয়া খলিলুরের স্বীকারোক্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সিআইডি জানিয়েছে, রাজধানীর মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগে ৬০ ফিটের পাকা মসজিদের সামনে পরমাগলিতে অন্তত তিন কোটি টাকার ফ্লাট আছে খলিলুর রহমানের। কয়েক মাস আগে কেনা ফ্ল্যাটটির ইন্টেরিয়র ডিজাইনও ঝাঁ চকচকে।

ঢাকায় আরেকটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু সেটি তিনি ভাড়া দিয়েছেন। রাজধানীর আশকোনা এলাকায় বিপুল সম্পত্তি কিনেছেন তিনি। এছাড়া যশোরের কেশবপুরে তার বিপুল সম্পত্তি রয়েছে।

আদালতকে খলিল জানিয়েছেন, পিএসসির অধীনে হওয়া বিসিএস ক্যাডার, নন-ক্যাডার ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করেছেন তিনি। আর এর মাধ্যমে গত ১২ বছরে অন্তত ৩০০-৪০০ জনকে চাকরি পেতে সাহায্য করেছেন তিনি। খলিল মূলত পিএসসির পরিচালকদের এমএলএসএস ও অফিস সহায়কদের কারসাজিতে প্রশ্নফাঁস করতেন।

তিনি আরও জানান, তিনি ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় ১০ জন প্রার্থীর কাছে প্রশ্নফাঁস করেছেন। তাদের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়েন ৩ জন। বাকি ৩ জন বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরি করছেন।

এছাড়া, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও রেলের বিভিন্ন নিয়োগে অন্তত কয়েকশ নিয়োগে তার হাত ছিল।

খলিল জানান, ২০১২ সালে একবার বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রশ্ন নিয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে আটক হয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় পিএসসি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

পিএসসির সাবেক একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে তিনি চাকরি প্রার্থীদেরকে পরিচয় করিয়ে দিতেন। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললে নিয়োগের বিষয়ে আর্থিক লেনদেনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতো।

তিনি জানান, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়ামুলও এসব প্রশ্নপত্র ফাঁসে বিভিন্ন সময় তাকে সহযোগিতা করেছেন।

তারিক/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে