মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার: নিজের টাকায় দাস হয়েও শেষ হয় না হাঁসফাঁস
মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মজুমদার :স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশুনা শেষ করে বছর পাঁচেক বেকার জীবন পার করার পর সুদে ঋণ নিয়ে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ২০২১ সালে দোকান কর্মচারির ভিসায় সৌদি যান ফেনীর ছাগলনাইয়ার সাদ্দাম হোসেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ পেলেও বেতন একবারেই অসন্তোষজনক। সাদ্দাম জানায় সেখানে যা বেতন দেয়া হয় তা দিয়ে সৌদির থাকা-খাওয়া মেটাতেই হিমশিম খেতে হয়। এদিকে চওড়া সুদের ঋণ অন্যদিকে কর্মক্ষেত্রে অস্বস্তি। তাই মানসিকভাবে কোন কিছুতেই স্থির হতে পারছেন না সাদ্দাম।
সৌদি আরবে গিয়ে হতাশাগ্রস্থ অবস্থায় দিনাতিপাত করলেও বাড়িতে সাদ্দামের মা ও ভাইকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে পাওনাদাররা। যাতে কাছ থেকে সুদে ঋণ নিয়ে সৌদিতে যাওয়ার টাকা যোগাড় করেছিলো সাদ্দাম। এখন দেশে এবং প্রবাসের যেকোন জায়গায় অবস্থানই সাদ্দামের জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সৌদিতে টিকে থাকতেও সেখানকার নিয়োগদাতা ব্যক্তি/কোম্পানিকে প্রতিমাসে নির্ধারিত পরিমাণ চাঁদা দিয়ে থাকতে হয়। কাজ থকুক বা না থাকুক, ভিসায় যাকে মালিক দেখিয়ে সৌদি গেছে তার প্রতিমাসের চাঁদা মাফ নেই। এভাবেই বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে সৌদি নাগরিকদের মধ্যেও গড়ে উঠেছে একটি দালাল সিন্ডিকেট। যার প্রেক্ষিতে শুধু ভিসায় নিজের নাম ব্যবহার করেই চিরস্থায়ী উপর্জনের ব্যবস্থা হয়ে যায় ঐসব দালালদের।
সাদ্দামের চেয়েও করুণ অবস্থা মালয়েশিয়া প্রবাসী মোশাররফের। গত ৫ বছর যাবৎ মালয়েশিয়ায় বসবাস করলেও কোন গতি করতে পারেননি তিনি। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সময় যে ৫ লাখ টাকা ঋণ করা হয়েছিল সেটাও পরিশোধ হয়নি এখনও। এখন মালয়েশিয়া যাওয়াই তার জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন আছেন তিনি উভয় সংকটে। এদিকে বিদেশে যাওয়ার সময় যে ঋণ হয়েছে তার চাপ অন্যদিকে মালয়েশিয়ায় ৩ মাস কোন কাজ করলেও বাকি ৩ মাস থাকতে হয় বেকার। বেতন যা হয় তাতে মালয়েশিয়ার খেয়ে-পরে থাকতেও কষ্ট হয় বলে জানান মোশাররফ। মোশাররফ আরো জানান, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে এমন আভাস পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ায় কর্মী আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত এজেন্সিগুলো খুব স্বল্প সময়ে অধিক সংখ্যক কর্মী মালয়েশিয়ায় ঢুকিয়েছে। যেখানে লোক প্রয়োজন ২ জন সেখানে এসেছে ২০ জন। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যেতে ৫-৬ লাখ টাকা খরচ করে বহু লোক এখন মালয়েশিয়ায় ঢুকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অভিবাসন প্রত্যাশিদের কোন গতি না হলেও জনপ্রতি ৫-৬ লাখ টাকা ঢুকেছে দু’দেশের এজেন্সিগুলোর পকেটে। এদিকে প্রতারণা ও ভোগান্তি তো নিত্যদিনের সঙ্গী। শ্রমবাজার বন্ধের খবরে দ্রুত সময়ে ঢোকা লোকদের জন্য লোকদের জন্য মালয়েশিয়ায় আগে থেকে বসবাসরত অভিবাসীদের ভোগান্তিও বেড়েছে। এদিকে মাঝে মাঝে পুলিশি ধরপাকড় তো আছেই।
চলতি বছরের ১ জুন বন্ধ হলো মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার। এজেন্সিকে টাকা দেয়ার পরও মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারেনি প্রায় ১৭ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশি।
সিন্ডিকেটে আটকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া সিন্ডিকেট ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় দেশের সকল রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠানোর সুযোগ পায় না। সুযোগ মেলে অল্পসংখ্যক এজেন্সির ভাগ্যে। শুরুতে সিন্ডিকেটের সদস্য ছিল ২৫টি এজেন্সি। পরে তিন ধাপে বেড়ে ১০০টি হয়েছে। সিন্ডিকেটে নাম ঢোকাতে প্রতিটি এজেন্সির কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সিন্ডিকেটের হোতাদের বিরুদ্ধে। আর চক্রে থাকা এজেন্সিগুলো বসে বসে প্রতি কর্মীর বিপরীতে অন্তত দেড় লাখ টাকা ‘সিন্ডিকেট ফি’ পাচ্ছে। অবশ্য এ টাকার একটি অংশ চলে যায় মালয়েশিয়ার চক্র নিয়ন্ত্রকদের কাছে।
ইতোমধ্যে জনশক্তি আমদানি খাতে হয়রানির অভিযোগে মালয়েশিয়ার ৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত করেছে দেশটির সরকার। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানের কথা জানা গেছে । প্রায় ৪ বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের জুলাইয়ে যখন মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলে, তখন কর্মী পাঠানোর জন্য রিক্রুটিং এজেন্সি নির্বাচনের দায়িত্ব পায় মালয়েশিয়া। তাদের কাছে ১ হাজার ৫২০টি রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা পাঠায় বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। কিন্তু বেছে নেওয়া হয় মাত্র ২৫টিকে। এজেন্সি বাছাই প্রক্রিয়ায় কোন নীতিমালা ছিল না। এ ক্ষেত্রে প্রভাব খাটানো ও ঘুষ লেনদেনের পথ সুগম হয়েছে এ প্রক্রিয়ায়। যার প্রেক্ষিতে নতুন কিছু এজেন্সি চক্রে ঢুকতে পারলেও বাদ পড়ে যায় পুরনো অনেক এজেন্সি।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ কর্মী পাঠায়। তবে বাংলাদেশ ছাড়া কোনো দেশে এমন সিন্ডিকেট ব্যবস্থা নেই। এদিকে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অনেকেই মালয়েশিয়ায় গিয়ে কাজ পাচ্ছেন না। কেউ কেউ ঋণ করে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসছেন।মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের অনেকেই দুর্বিষহ, মানবেতর ও অমর্যাদাকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। চাকরির ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। অনিশ্চিত এমন পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া আপাতত বিদেশি কর্মী নেয়া স্থগিত করেছে। গত ১৫ বছরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছে ৩ বার। প্রতিবারই শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট গঠনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে । পরে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগ ওঠে।
বাংলাদেশিদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ২০০৯ সালে প্রথম দফায় বন্ধ হওয়ার পর ২০১৬ সালের শেষে খোলা হয়। তখন সিন্ডিকেটে ছিল বাংলাদেশের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আবার বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশের পথ। আবার খোলা হয় ২০২২ সালে। তখন আবারও গড়া হয় সিন্ডিকেট। ২০২৩ সালের মার্চে মালয়েশিয়া জানায়, আপাতত আর শ্রমিক নেবে না। বাংলাদেশ থেকে মালেশিয়ায় অভিবাসন প্রত্যাশী যারা অনুমোদন ও ভিসা পেয়েছেন, তাদের মালেশিয়ায় প্রবেশের জন্য ৩১ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় দেশটি।বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সবচেয়ে বড় হওয়ায় গত দেড় বছরে সৌদি আরবের পর সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছে মালয়েশিয়ায়। যার সংখ্যা দাঁড়ায় সাড়ে ৪ লাখের বেশি। যার কারণে শ্রমবাজারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
২০২২ সালে শ্রমবাজার খোলার আগে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে মালয়েশিয়া। তখন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সকল এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী যাওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত রাখার ওপর জোর না দিয়ে এজেন্সি নির্ধারণের দায়িত্ব দেয় মালয়েশিয়ার ঘাড়ে।
বাংলাদেশের এজেন্সি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার সরকারেরও নির্দিষ্ট কোনো মানদণ্ড না থাকায় উভয় দেশের কিছু অসাধু এজেন্সি মিলে গড়ে নেয় সিন্ডিকেট।শুরুতে মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোর সিন্ডিকেটে প্রথমে ২৫টি এজেন্সি থাকলেও ধাপে ধাপে মোট ১০০ বেসরকারি এজেন্সি সিন্ডিকেটে প্রবেশের সুযোগ পায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় সরকারি এজেন্সি বোয়েসেল। এভাবে অন্য কোন দেশ থেকে কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে এভাবে এজেন্সি ঠিক করে দেয়ায় দায়িত্ব মালয়েশিয়া নেয় না।
মালয়েশিয়া থেকে কোনো কর্মীর চাহিদাপত্র চূড়ান্ত হলে তা এফডব্লিউসিএমএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনুমোদিত এজেন্সির মধ্যে বণ্টন করা হয়। বিভিন্ন এজেন্সি বিভিন্ন রকম চাহিদাপত্র পায়। যে এজেন্সির নামে চাহিদাপত্র আসে, তাদের মাধ্যমে কর্মী পাঠাতে হয়। আর সিন্ডিকেট বহির্ভূত কোন এজেন্সি কর্মী পাঠাতে চাইলে সিন্ডিকেটভূক্ত এজেন্সিকে ১ লাখ ৫০-৬০ হাজার টাকা কমিশন দিতে হয়।
জানা যায়, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ খরচ ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। কিন্তু এক অনুসন্ধানে দেখা যায় সিন্ডিকেটের কারণে এ খরচ দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকায়।
তবে সিন্ডিকেটভূক্ত এজেন্সিগুলো বলছে, শ্রমিকদের বাড়তি খরচের দায় সিন্ডিকেটের বাইরে থাকা এজেন্সির। অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে তারা চড়া দামে মালয়েশিয়া থেকে কর্মীর চাহিদাপত্র কিনে ভিসা বাণিজ্য করেছে।
স্বস্তিতে নেই মধ্যপ্রাচ্যের কর্মীরা
মূলত তিনটি কারণে সঙ্কট চলছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শ্রমবাজার সৌদিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন যারা আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে পাওয়া ফ্রি ভিসায় সৌদি গেছেন। আবার যারা কাজ পাচ্ছেন তাদের বেতন এতোটাই কম যে জীবন যাপনই কঠিন হয়ে পড়েছে। জনশক্তি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক হাজার রিয়াল বা ৩৫ হাজার টাকার নিচে যেসব কর্মীরা সৌদি গেছেন তারা খুবই মানবেতন জীবনযাপন করছেন।বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে ৫০০ রিয়াল বা ১৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরির জন্য সৌদিতে কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হচ্ছে। কিন্তু একজন কর্মীর সৌদিতে নিজে থাকা খাওয়ার জন্য এই টাকা যথেষ্ট নয়। তবুও বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ওভারটাইম ব্যক্তিগত সহায়তা এইসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে সৌদি যান। কিন্তু দিন শেষে নিজের বা পরিবারের জন্য কিছুই থাকে না। আবার কোম্পানি ভিসায় গিয়ে কাজ না পাবার অভিযোগ রয়েছে অনেক সৌদি প্রবাসীর। অথচ যাবার জন্য খরচ হয়েছে ৪-৫ লাখ টাকা। বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা মনে করেন, ব্যক্তিগতভাবে সৌদিতে কর্মী পাঠানো ও ফ্রি ভিসা বন্ধ করা উচিত।
সৌদি আরবের করন নীতির কারণে ১৬ পেশায় বাংলাদেশিরা কাজ করতে পারে না। কিন্তু বিষয়টি জেনেও প্রতিদিনই কয়েক’শ কর্মী যাচ্ছে সৌদিতে। সৌদিতে বাংলাদেশের কর্মীরা আগে মোবাইলের দোকানে, কাপড়ের দোকানে এবং বিভিন্ন ছোট ছোট দোকানে কাজ করতে পারতো। সেখানে কিন্তু আমাদের কর্মীরা এখন কাজ করতে পারছে না। তারা যে আশা নিয়ে সৌদি যাচ্ছে, সে আশা দূরের কথা তারা যে অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছে সে অর্থ তারা আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে তুলতে পারবে কিনা সেটিই চিন্তার জায়গা তৈরি করেছে। এই বছরের প্রথম কয়েক মাসে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ করেছেন সৌদি প্রবাসীরা।
গত ৩ বছরে প্রায় ১৬ লাখ নতুন কর্মী সৌদি আরবে গেছেন৷ আর আগের কর্মী ধরলে নতুন-পুরাতন মিলিয়ে দেশটিতে এখন প্রায় ৩০ লাখ বাংলদেশি অভিবাসী অবস্থানরত৷ বাংলাদেশের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ ও ২০২৩ সালে ২৪ লাখ লোকের বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে যার ৫০ শাতাংশই সৌদি আরবে৷ কিন্তু অভিবাসী গমনে রেকর্ড গড়লেও প্রবাসী আয়ে আশঙ্কাজনক হারে পিছিয়ে পড়ছে দেশটির বাংলাদেশি অভিবাসীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, করোনা মহামারির মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরেও সৌদি আরব থেকে ৫৭০ কোটি ডলার (৫.৭ বিলিয়ন) প্রবাসী আয় এসেছে৷ এরপর ২০২১ সালে চার লাখ ৫৭ হাজার, ২০২২ সালে ছয় লাখ ১২ হাজার এবং ২০২৩ সালে প্রায় ৫ লাখ অভিবাসী কর্মের সন্ধানে দেশটিতে গিয়েছেন৷ কিন্তু প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেয়ে থমকে আছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৩৭০ কোটি ডলারে (৩.৭ বিলিয়ন) ৷
২০২৩ সালে বাংলাদেশে সৌদির প্রবাসী আয়ে ভাটা পড়ায় সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয়ের রেকর্ড গড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ৷ অথচ ২০১৩ সাল থেকে গত এক দশক ধরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ রেখেছে দেশটি৷ অথচ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় এই শ্রমবাজারে ২০০৮ সালেও ৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৫ জন কর্মী গিয়েছিলেন৷ সর্বশেষ ২০১২ সালে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৫২ জন কর্মী দেশটিতে যায়৷ এরপর ২০১৩ সালে অক্টোবর থেকে দেশটিতে কর্মী যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়৷ গত কয়েক বছরে প্রায় ২ লাখ কর্মী সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন পর্যটক ভিসায়৷ ফলে সেসব কর্মীরাও নানা সংকটে দিনাতিপাত করছেন৷ পর্যটক ভিসায় যাওয়া এসব কর্মীরা অধিকাংশই স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বলে এক অনুসন্ধানে জানা যায়। ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশি কর্মী নেয়া বন্ধ রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ বাহরাইন। অথচ ২০১৬ সালেও প্রায় ৭২ হাজার কর্মী গেছেন৷ বন্ধের তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে ওমান৷ ওমানে পর্যটন ও ভিজিট ভিসায় আসা প্রবাসীদের ভিসা পরিবর্তন করার সুযোগও একই সাথে স্থগিত থাকবে৷ ওমানের পক্ষ থেকে এটি সাময়িক বলা হলেও কত সময় পর বাজারটি চালু হবে কেউ বলতে পারছে না৷
এরমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিসহ নানা কারণে ভবিষ্যত নিয়েও শঙ্কিত অভিবাসন খাত সংশ্লিষ্টরা৷ তারা মনে করেন, বাংলাদেশ কর্মী পাঠানোর পথ ও বিকল্প শ্রমবাজার গড়ে তোলা জরুরি৷
মধ্যপ্রাচ্যে যখন বড় ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয় তখন গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল শীর্ষক জোটভুক্ত ছয়টি দেশ বিপুল পরিমান প্রবাসী শ্রমিকের প্রয়োজন অনুভব করলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একটি মুসলিম দেশ হিসেবে এখান থেকে কর্মী যাওয়া শুরু হয়৷ তেল ও খনিজ সম্পদ পেয়ে ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতি আর প্রবাসী শ্রমিকদের সংখ্যাও বাড়তেই থাকে৷ প্রবাসীদের পাঠানো এই আয় বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে পৌঁছে দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখছে৷
অধিকাংশ বাংলাদেশির স্বপ্ন মধ্যপ্রাচ্য
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বিএমইটির কাছে সংরক্ষিত তথ্যে জানা যায়, ১৯৭৬ সালে ৬ হাজার কর্মী বাংলাদেশ থেকে বিদেশে গিয়েছিল৷ এরমধ্যে আরব আমিরাতে দুই হাজার, কাতারে এক হাজার ২২১ জন, কুয়েতে ৬৪৩ জন, বাহরাইনে ৩৩৫ জন, সৌদি আরবে ২১৭ জন এবং ওমানে ১১৩ জন ৷
বর্তমানে এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই আছে ৬টি দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, কুয়েত ও বাহরাইনে৷ এর বাইরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডান ও লেবাননেও অনেক বাংলাদেশি যাচ্ছেন যাদের অধিকাংশই নারী৷ মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর৷ বারবার বিকল্প শ্রমবাজারের কথা বলা হলেও মধ্যপ্রাচ্যই বাংলাদেশি অভিবাসীদের একমাত্র ভরসা ৷ ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে এমন দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, ইতালি, কাতার, মালয়েশিয়া, ওমান, বাহরাইন, ইতালি৷
খরচ বেশি আয় কম
প্রবাসীরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্য বা এশিয়ার যেকোন দেশে বাংলাদেশিরা ঢুকতে গড়ে খরচ করতে হয় ৫-৬ লাখ টাকা। অথচ অন্যান্য দেশের লোকজন ঢুকতে যেখানে খরচ করতে হয় বাংলাদেশি টাকায় মাত্র ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। বাংলাদেশিরা মূলত নির্মাণশ্রমিক, কৃষি, বা উৎপাদন খাতে কাজ করেন৷ এদের অধিকাংশই অদক্ষ শ্রমিক৷ বাংলাদেশের মত পৃথিবীর আর কোন দেশ থেকে শ্রমিক হিসেবে বিদেশে এত বেশি খরচ লাগে না। এই খরচ না কমিয়ে যখন বেশি লোক আসে বাকিদেরও বেতন কমে৷ দিনে ১২ থেকে ১৮ ঘন্টা পরিশ্রম করেও তখন দেশে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পাঠানো সম্ভব হয় না৷
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, একজন ফিলিপাইনের কর্মী যেখানে মাসে ৫৪৬ ডলার দেশে পাঠান সেখানে প্রবাসী একজন বাংলাদেশি কর্মী মাসে গড়ে ২০৩ ডলারের প্রবাসী আয় পাঠাতেও হিমশিম খেতে হয়৷ অথচ অভিবাসন খরচ বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি৷ অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে আসা নারী কর্মীদের দক্ষতা না থাকার কারণে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের কর্মীরা অদক্ষ হওয়ার কারণে বিভিন্ন পণ্যের দোকান, হোটেল-রেঁস্তোরা, কৃষিপণ্য বিক্রিসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন৷ মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলোয় বাংলাদেশি শিক্ষক, চিকিৎসক ও প্রকৌশলীদের কদরও বাড়ছে৷ তবে সংখ্যায় তারা খুবই কম৷ অথচ দক্ষ কর্মীদের সংখ্যা বাড়াতে পারলে প্রবাসী আয় অনেক বেশি আসবে৷ খরচ বেশি দিয়েও স্বস্তি নেই বাংলাদেশিদের। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে দূতাবাস সবখানেই তাদের পোহাতে হয় অসহনীয় দুর্ভোগ ৷ পাসপোর্ট তৈরি থেকেই শুরু ৷ এরপর দালাল, চাকরির বিষয়ে অসত্য তথ্য, উচ্চমূল্যে ভিসা কেনা-বেচা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সরকারি ছাড়পত্রসহ সবখানে সীমাহীন দুর্ভোগ ৷ দেশের আকাশসীমা অতিক্রম করার পর বিরূপ পরিবেশ, অমানুষিক পরিশ্রম, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মালিকদের প্রতারণা, নির্যাতনসহ আরও কত-কী! আবার বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে গেলে কাঙ্ক্ষিত সেবা মেলে না।
অভিবাসন খাতে নিয়ে গবেষণাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, তড়িগড়ি করে লোক পাঠানোর কারণে মালয়েশিয়ায় খাদ্য, আবাসন ও শৌচাগার সংক্রান্ত সংকটে মানবেতর পরিবেশে দিনাতিপাত করছেন বাংলাদেশিরা। মালয়েশিয়ায় কাজ না পাওয়া বাংলাদেশি কর্মীদের অসন্তোষের বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশের ভিত্তিতে গত কয়েক মাসে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত মানবাধিকার সংগঠন এবং দেশটির সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিছু কোম্পানিকে বিচারের আওতায় এনে অনতিবিলম্বে কর্মীদের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করতে এবং ভবিষ্যতে বাকি বেতন পরিশোধ করতে দেশটির লেবার কোর্ট রায় প্রদান করেছে।
বাংলাদেশের সিন্ডিকেটভুক্ত কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ার এমন কিছু কোম্পানিতে কর্মী পাঠিয়েছে, যাদের কর্মী নিয়োগের সক্ষমতা নেই এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ওই নামের কোন কোম্পানির অস্তিত্বও নেই। এছাড়া হাজার হাজার বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে লাখ লাখ টাকা দিয়ে রেখেছেন। কলিং ভিসা নিয়ে ভিসা স্ট্যাম্পিং বা ই-ভিসার জন্য মাসের পর মাস ধরে অপেক্ষা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে, সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো ওই দেশের সরকার ও কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। আর মধ্যপ্রাচ্যের দরজা তো বন্ধই আছে, এ অপেক্ষার শেষ কখন হবে সেটিও অনিশ্চিত।
শেয়ারনিউজ/
পাঠকের মতামত:
- ১৮ জানুয়ারি লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১৮ জানুয়ারি দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১৮ জানুয়ারি দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি গ্রেপ্তার
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল বিনিয়োগকারীরা
- মেঘনা পেটের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- শেয়ার কিনলেন এসিআই এর এমডি ও পরিচালক
- অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- ক্রেতা উধাও পাঁচ কোম্পানির শেয়ারের
- হিজাব বিতর্কে চ্যানেল আইয়ের উপস্থাপিকার বিস্ফোরক মন্তব্য
- ব্রিটিশ এমপিরা বাংলাদেশ নিয়ে নিজেদের ভুল সংশোধন করলেন
- সাবেক চেয়ারম্যানের বিপুল সম্পত্তি ও কোটি টাকার বাড়ি দেখে জাহিদ মালেক অবাক
- শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন, পদ পেলেন যারা
- রাতে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে লুৎফুজ্জামান বাবর
- তাল্লু স্পিনিংয়ের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বঙ্গজের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- মিথুন নিটিংয়ের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- রানার অটোমোবাইলসের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- সিঙ্গার বিডির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- ইপিএস ঘোষণা করলো যে কোম্পানি
- ফাইন ফুডসের শেয়ার কারসাজি: কৃত্রিম মুনাফার ফাঁদে বিনিয়োগকারীরা
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় শীর্ষে যারা
- বিদেশি বিনিয়োগ টানতে বিডার ‘হিটম্যাপ’ ঘোষণা
- মেডিক্যালে ৪১ পেয়েই চান্স, ৭০ পেয়েও কাঁদছেন অনেকেই
- ব্যাংকারদের বিদেশ যেতে সব বাধা তুলে দিল সরকার
- পরীক্ষামূলক উৎপাদনে দেশে আরও একটি বড় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র
- আন্তর্দেশীয় ট্রেন চলাচলে পাঁচ এজেন্ডা নিয়ে বৈঠকে বসছে ভারত-বাংলাদেশ
- মামলা নিতে গড়িমসি করায় গুলশান থানার ওসি বরখাস্ত
- সাকিবের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল
- শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
- সাইফ আলিকে দেখতে হাসপাতালে শাকিব খান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
- সীমান্তে কাঁটাতার: কবে, কেন এবং কীভাবে এই বেড়া সৃষ্টি হল?
- জামিন পেলেন কারাগারে থাকা বিডিআরের ২০০ জওয়ান
- চ্যানেল আই কর্মীকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করল নিকাব বিতর্ক
- সরকারের সমালোচনা করে ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- কাতারের আমিরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারেক রহমানের পত্র
- আবারও মেজাজ হারালেন তামিম, এবার ক্ষোভের শিকার যে ক্রিকেটার
- পুলিশের দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত, একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত
- পুলিশের চোখে ধুলো, প্রধান উপদেষ্টার সাবেক সহকর্মীর পরিচয়ে কামাল খান
- দাম বৃদ্ধিতে গাড়ি বাজারে অস্থিরতা, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
- নথি ফাঁস আলজাজিরা প্রতিবেদন নিয়ে শেখ হাসিনার মামলা করার পরিকল্পনা
- এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: জানুন কীভাবে পাবেন ফল
- কপালে টিপ ও ঘোমটা দিয়ে ছাত্রী হলের রুমে কি করছিলেন সেই যুবক
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নরের বাসায় যা যা উদ্ধার হলো
- পরিবর্তন আসছে ই-পাসপোর্ট ডিজাইনের
- ‘তাহাজ্জুদের পর থেকেই মিথ্যা বলা শুরু করতেন শেখ হাসিনা’
- বোরকা পরে সনদ তুলতে গিয়ে ধরা পড়লেন ছাত্রলীগ কর্মী
- আ.লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করলেন প্রেসসচিব
- মাহফিলে মাইক ব্যবহারের শর্ত নিয়ে আজহারির খোলামেলা মন্তব্য
- বঙ্গবন্ধু সেতুর নামকরণ নিয়ে নাহিদ ইসলামের মন্তব্য , প্রকাশ্যে এলো আসল সত্য
- যে জেলার সব উপজেলার ইউএনও নারী কর্মকর্তা
- পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনায় নতুন নিয়ম জারি
- প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠাতে আরও সুবিধা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
- হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রথম ওয়াজ মাহফিল বক্তব্যে ঝড়
- শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগ, শাস্তির কবলে ৭ কোম্পানি
- যাচাই-বাছাইয়ের মুখে ৮৯ হাজার সরকারি চাকরিজীবী
- ডলারের দাম কমল, মুদ্রার বাজারে নতুন পরিবর্তন
- শেয়ারবাজারের ৮ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানকে ৯১ কোটি টাকা জরিমানা
- ইসলামী ব্যাংকের ৭০ হাজার কোটি টাকা লোপাট
- টিউলিপ সিদ্দিকের পর এবার কপাল পুড়তে যাচ্ছে হাসিনা কন্যার
- আজ থেকে ৩ কোম্পানির শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন
- নতুন অডিও ফাঁস: কাঁদতে কাঁদতে শেখ হাসিনা শেয়ার করলেন সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা
- সাইফ আলিকে দেখতে হাসপাতালে শাকিব খান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
- শেয়ার দাম অস্বাভাবিক বাড়ায় ডিএসইর সতর্কবার্তা
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর
- ঢাকা-৭ আসনের সাবেক এমপি গ্রেপ্তার
- সাবেক চেয়ারম্যানের বিপুল সম্পত্তি ও কোটি টাকার বাড়ি দেখে জাহিদ মালেক অবাক
- শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন, পদ পেলেন যারা
- রাতে সুইজারল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
- হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে লুৎফুজ্জামান বাবর
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় শীর্ষে যারা