ঢাকা, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

নবম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে ‘অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইট’

২০২৪ জুন ২৫ ২৩:২০:০৯
নবম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে ‘অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইট’

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রকাশিত ২০২৪ সালের নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে নতুন আরেক অসঙ্গতি সামনে এলো।

নতুন কারিকুলামে নবম শ্রেণির ‘জীবন ও জীবিকা’ বইয়ের একটি বিতর্কিত কিউআর কোড নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় শুরু হয়েছে।

বইটিতে উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যবসা শুরু করা নিয়ে থাকা একটি অধ্যায়ে এই কোড ব্যবহার করা হয়েছে। যেটি স্ক্যান করলেই চলে আসছে অন্তর্বাস বিক্রির একটি ওয়েবসাইট।

শিক্ষক ও অভিভাবকরা এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাঠ্যবইয়ে এমন কিউআর কোড ব্যবহারে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

মাধ্যমিকের ৯০ পৃষ্ঠার নবম শ্রেণির ‘জীবন ও জীবিকা’ বইয়ে বিদেশি অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইটের ঠিকানাযুক্ত কিউআর কোড সংযুক্ত করা হয়েছে। বইটিতে মোট ৩টি অধ্যায় রয়েছে। বইটির ‘উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা’ নামের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৩৮ নম্বর পৃষ্ঠার ‘ধাপ-৬: ব্যবসার ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং বা বিপণন পরিকল্পনা’ নামক অধ্যায়ে উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রার জন্য কীভাবে ব্যবসায় শুরু করতে সেটি উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এই পৃষ্ঠার ‘চিত্র ২.১: বিভিন্ন মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপনের নমুনা’র চিত্র তুলে ধরে সেখানে নিত্যদিন স্টোরের একটি ছবি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, গুগল প্লাস, ভাইবার, লিংকডইন এবং পিনটারেস্টের লোগো দেওয়া হয়েছে।

এই লোগো এবং নিত্যদিন স্টোরের মাঝখানে একটি বারকোড ও কিউআর কোড সংযুক্ত করা হয়েছে। সেখানকার কিউআর কোডটি স্ক্যান করলে ট্যাক্স (trucss.com.br) নামক পর্তুগিজ একটি নারীদের অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইটে নিয়ে যাচ্ছে। যেখানে অ্যাডাল্ট নারী মডেলরা অন্তর্বাস পরে সেটা বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দেখানো হচ্ছে।

নবম শ্রেণির জীবন ও জীবিকা বইটি রচনা ও সম্পাদনা করেছেন মো. মুরশীদ আকতার, মোসাম্মৎ খাদিজা ইয়াসমিন, হাসান তারেক খাঁন, মোহাম্মদ কবীর হোসেন, মো. সিফাতুল ইসলাম, মো. রুহুল আমিন, মো. তৌহিদুর রহমান, মো. মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবুল খায়ের ভূঁঞা।

বইটির শিল্পনির্দেশনায় ছিলেন মঞ্জুর আহমদ, চিত্রণ সুবীর মণ্ডল, প্রচ্ছদ পরিকল্পনা মঞ্জুর আহমদ, প্রচ্ছদ প্রথমেশ দাশ পুলক, গ্রাফিক্স নূর-ই-ইলাহী ও কে. এম. ইউসুফ আলী।

অভিভাবকদের অভিযোগ, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর বইয়ে এই ধরনের অ্যাডাল্ট ছবিসহ বিদেশি অন্তর্বাস বিক্রির ওয়েবসাইট কেন দেওয়া হয়েছে? এই অন্তর্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে?

এই বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যখন কিউআর কোডটি বসানো হয়েছিল, তখন ওই ওয়েবসাইটে খেলাধুলার বিভিন্ন সামগ্রী পাওয়া যেত। তবে বর্তমানে সেটি অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটের ঠিকানায় পরিবর্তন করা হয়েছে।

তিনি জানান, তবে পাঠ্যপুস্তকে কিউআর কোডটি সংযুক্ত করা হয়েছে স্ক্যান করার জন্য নয়, এটা উদাহরণ হিসেবে সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু এখন বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে তাই শিক্ষার্থীরাও এটি স্ক্যান করে দেখবে, যা বিব্রতকর। বিষয়টি নিয়ে শিগগির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এএসএম/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে