ঢাকা, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

ডরিনকে ডেকেছে ভারতের সিআইডি

২০২৪ জুন ২১ ১০:০৬:৪৬
ডরিনকে ডেকেছে ভারতের সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের কলকাতায় নিহত ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনারের মরদেহের অংশ বলে সন্দেহ করা সেপটিক ট্যাঙ্কে পাওয়া মাংসের টুকরোটির ফরেনসিক রিপোর্ট পেয়েছে ভারতের সিআইডি। এরপর আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডোরীনকে ডিএনএ নমুনা দিতে ভারতে ডেকেছে তারা।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করে এমপি আনারের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রউফ বলেছেন, বৃহস্পতিবার ভারতের সিআইডির এক কর্মকর্তা ডরিনকে ফোন করে ডিএনএ নমুনা দিতে এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে যাওয়ার কথা বলেছেন। বিষয়টি ডিবি পুলিশকে জানিয়েছি। ডিবির একটি টিমের সঙ্গে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারতে যাব।

ভারতীয় পুলিশের দেয়া তথ্যে বাংলাদেশের পুলিশ, তানভীর ভুঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

অন্যদিকে কলকাতার পুলিশ জিহাদ হাওলাদার নামে এক কসাইকে গ্রেপ্তার করে। আর সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয় কাঠমান্ডুতে। পরে তাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে নেপালের পুলিশ।

এর আগে, গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনার। তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস কলকাতায় জিডি করার পর দুই দেশে শুরু হয় তদন্ত।

এরপর ২২ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এমপি আনারকে কলকাতার এক বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, এমপি আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তার বাল্যবন্ধু ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ঝিনাইদহের আখতারুজ্জামান শাহীন। আর হত্যাকাণ্ডটি বাস্তবায়ন করেছেন চরমপন্থি নেতা আমানুল্লা ওরফে শিমুল।

জানা যায়, কলকাতায় যাওয়ার পরদিন বৈঠক করার জন্য আখতারুজ্জামান শাহীনের ভাড়া বাসায় যান আনার। সেখানেই আসামিরা তাকে হত্যা করে। শাহীনের সহকারী সিয়ামও এ ঘটনায় ‘জড়িত’ এবং হত্যাকাণ্ডের পর তিনি নেপালে গিয়ে আত্মগোপন করেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

আনার হত্যাকাণ্ডের খবরের দিনই তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন শেরেবাংলা নগর থানায় তার বাবাকে খুনের উদ্দেশে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে কলকাতায় দায়ের করা হয় হত্যা মামলা।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি ভারতও তদন্ত করছে, আমাদের পুলিশও তদন্ত করছে। তদন্তের বিষয়ে দুই দেশ একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। যেখানে ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে সেখানে তদন্ত হবে। আবার বাংলাদেশের আইনে আছে, বিদেশে যদি কোনো বাংলাদেশি অপরাধ করে থাকে সেই অপরাধীকে বাংলাদেশে এনেও বিচার করা যাবে।

এ মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে গত ১ জুন নেপাল যান ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ। ৪ জুন বিকালে দেশে ফিরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম। এই মামলায় আমাদের ও ভারতের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। দুই দেশের তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছেন এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে। আমরা তাদের সঙ্গে বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করছি।

ডিবি প্রধান বলেন, সিয়ামকে ভারতের পুলিশের কাছে দিলে আমাদের তদন্তে কোনো সমস্যা হবে না। মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের ঘনিষ্ঠ ও কাছের মানুষ সিয়াম। সিয়ামকে যদি ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় তাহলে আলামত উদ্ধারের ক্ষেত্রে সে ভালো ভূমিকা রাখতে পারবে। আমরাও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারব।

ডরিনের মামলাতেই ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে বাবুর কাছে আনারের লাশের ছবি পাঠানো হয়েছিলো বলে তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।

তারিক/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে