ঢাকা, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

মতিউরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নামছে দুদক

২০২৪ জুন ২১ ০৬:৩১:২৯
মতিউরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নামছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোরবানির ছাগলকান্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব রোর্ডের সদস্য মো. মতিউর রহমানের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে নতুন করে মাঠে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে সম্পদের অনুসন্ধানের জন্য টিম গঠনের শক্ত সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে দুদকের যাচাই-বাছাই কমিটি (যাবাক)। গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত যাবাকের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ১২ লাখ টাকার ছাগলকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচিত উচ্চপদস্থ এই সরকারি কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে গত ১৮ বছরের ব্যবধানে চার দফা টিম গঠন করা হয়। রহস্যজনকভাবে প্রতিবারই অভিযোগ পরিসমাপ্তি করে তাকে দেওয়া হয় ‘ক্লিনচিট।’ এই নিয়ে দুদকের ভেতরে-বাইরে নানা গুঞ্জন রয়েছে।

জানা গেছে, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয় ২০০০ সালের দিকে। তিনি ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ সালে বেনাপোল বন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার ছিলেন। সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে বেপরোয়া ঘুস ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। দুদক তখন দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান ঝুলিয়ে রেখে ২০০৪ সালে অভিযোগ পরিসমাপ্তি করে।

এরপর নামে-বেনামে, দেশে-বিদেশে অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ করার অভিযোগে একই কায়দায় ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয় এবং তিন বারই অভিযোগ পরিসমাপ্তি করে তাকে ‘ক্লিনচিট’ দেওয়া হয়।

মতিউর রহমান কাস্টমসের সহকারী কমিশনার থেকে বর্তমানে এনবিআর সদস্য হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে অন্যতম একজন। বাজারসংশ্লিষ্টদের কাছে তার পরিচয় ‘গেমলার’ হিসাবে। তার সঙ্গে দুদকের অনেক কর্মকর্তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকায় তিনি বার বার পার পেয়ে গেছেন।

জানা গেছে, গত ৪ জুন দুদকের যাচাই, বাছাই কমিটির আহ্বায়ক দুদক মহাপরিচালক মো. মোকাম্মেল হক সভায় উপস্থাপন করেন, এনবিআর সদস্য মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সভায় আরও জানানো হয় যে, একই ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানপূর্বক চারবার পরিসমাপ্ত করা হয়।

সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ একটি টিম গঠনপূর্বক প্রকাশ্যে অনুসন্ধান করার বিষয়ে কমিশন একমত পোষণ করে। সভায় একটি টিম গঠন করে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়, পরিসমাপ্তিকৃত চারটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও তৎসংশ্লিষ্ট নথি খুঁজে বের করতে হবে। নথি খুঁজে না পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মামুন/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে