ঢাকা, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

আছাদুজ্জামানের ছেলে-স্ত্রীর আলিশান বাড়ি, দামি প্লটের সন্ধান!

২০২৪ জুন ২০ ২১:৪৬:৫২
আছাদুজ্জামানের ছেলে-স্ত্রীর আলিশান বাড়ি, দামি প্লটের সন্ধান!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও তার স্ত্রীর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ প্রকাশ হওয়ার পর এবার তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে আসিফ মাহাদীনের নামে ঢাকায় আলিশান বাড়ি, আফতাবনগরে দামি প্লট এবং ভাঙ্গায় এক একর জমির সন্ধান পাওয়া গেল।

ডিএমপির সাবেক এই কমিশনারের সম্পদ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। এরমধ্যেই তার ছোট ছেলের নামে এসব সম্পদের গুমর ফাঁস হলো। এই বিষয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে মানবজমিন। এবার ছোট ছেলের সম্পদ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে ভোরের কাগজ। গণমাধ্যমটি দাবি করেছে, এসব জমির নথি ও উপাত্ত তাদের হাতে রয়েছে।

গণমাধ্যমটি প্রতিবেদনে বলা হয়, আসিফের জন্ম ২০০০ সালের ২৭ নভেম্বর। মাত্র ২৩ বছর বয়সে রাজধানী নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার ৮/এ রোডের ৬ নম্বর বাড়ির মালিক হয়েছেন তিনি। যার বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকার বেশি। তার নামে আফতাবনগরে ৫ কাঠা প্লট আছে। যার বর্তমান বাজারমূল্য ৫ কোটি টাকার অধিক। এছাড়া ভাঙ্গা এলাকায় আসিফের নামে ১ একর জমি রয়েছে।

আছাদুজ্জামানের এই ছেলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। দেশটিতে তার বাবা বিভিন্ন সম্পত্তি গড়েছেন। সম্প্রতি আছাদুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা বিপুল সম্পদের তথ্য প্রকাশ হয়। উল্লেখিত সম্পদের তুলনায় সাবেক ডিএমপি কমিশনারের প্রকৃত সম্পদ কত বেশি হতে পারে, তা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো তথ্য অনুযায়ী, আছাদুজ্জামান মিয়ার নামে পূর্বাচলের নিউ টাউনের ১ নম্বর সেক্টরের ৪০৬/বি রোডে ১০ কাঠা জমি রয়েছে। যার মূল্য ১ কোটি টাকারও বেশি। এছাড়া আফতাবনগর ৩ নম্বর সেক্টরের এইচ ব্লকের ৮ নম্বর রোডের ৩৬ নম্বর প্লটে তার ২১ কাঠা জমি আছে।

আছাদুজ্জামানের স্ত্রী আফরোজা জামানের নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এল ব্লকের লেন-১-এ ১৬৬ ও ১৬৭ নম্বরে ছয়তলা আলিশান বাড়ি রয়েছে। বর্তমানে বাড়িটি স্কুল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সম্পত্তির বাজারমূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

আফরোজার নামে ইস্কাটন গার্ডেন ১৩/এ প্রিয়নীড়ে ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালে তিনি বিশেষ কোটায় রাজউক থেকে প্লট বরাদ্দ পান। অথচ রাজউকের নীতিমালা অনুযায়ী, স্বামী-স্ত্রীর প্লট পাওয়ার সুযোগ নেই।

আফরোজার নামে গাজীপুর, ফরিদপুর ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জমির সন্ধান মিলেছে। গাজীপুরের কালীগঞ্জের চাঁদখোলা মৌজায় তার নামে ১৩৭ শতাংশ জমি রয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তা কেনা হয়। ২০২০ সালে একই এলাকার সাহারা মৌজায় ১৫ কাঠা জমি কেনেন।

এছাড়া ২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কৈয়ামসাইল-কায়েতপাড়া মৌজায় ৬০.৬০ একর জমি কেনেন তিনি।প্রতিবেদন ও নথি অনুযায়ী, আছাদুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানায় অন্তত দুটি কোম্পানির সন্ধান পাওয়া গেছে। স্ত্রী আফরোজা উভয় কোম্পানির অংশীদার এবং মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আছাদুজ্জামান মিয়া ডিএমপি কমিশনার থাকাকালে রাজধানীর রুট পারমিট কমিটির প্রধান ছিলেন। তার আমলে মৌমিতা পরিবহনকে রুট পারমিট দেয়া হয়। মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান হারিসুর রহমান সোহান আফরোজার সৎ ভাই।

হারিসুর রহমান সোহান এক সময় লেবার ভিসায় সৌদি আরবে গেলেও পরে বাংলাদেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করেন।আফরোজা শেফার্ড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড নামে আরেকটি কোম্পানির চেয়ারম্যান। যার পরিচালক আসাদুজ্জামানের বড় ছেলে আসিফ শাহাদাত।

গণমাধ্যমে এসব সম্পদের খবর প্রকাশিতি হলে বর্তমানে বিদেশে অবস্থায় করা আছাদুজ্জামান মিয়া দাবি করেছেন, বৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তিনি সম্পদ কিনেছেন। সরকারকে বিব্রত করতে পরিকল্পিতভাবে এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।

এএসএম/

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে