নিজস্ব প্রতিবেদক : জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নাঈমুল ইসলামসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোঃ ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

অন্য আসামিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারী রফিকুল ইসলাম, মোঃ আল আমিন ও মোছা. লিপি বেগম। রায়ে জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের পৃথক দুটি মামলায় আসামি নাইমুলকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া ৮১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

অন্য তিন আসামিকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ৮১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এদিন কারাগারে আটক আসামি নাইমুল ও রফিকুলকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আল আমিনও হাজির হন। তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে তাদের ওয়ারেন্টসহ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে আসামি লিপি উপস্থিত না থাকায় সাজাসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২১ জুন পর্যন্ত আসামিরা বিভিন্ন তারিখে ১ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ টাকা নির্ধারিত হিসাবে জমা না করে ৪টি হিসাবে পরস্পর যোগসাজশে স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৩ জুন সোনালী ব্যাংকের বি ওয়াপদা ভবন করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গত ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

পরে ২০২২ সালের ৮ মার্চ পলাতক লিপি বেগমের অনুপস্থিতিতে আসামিদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। মামলাটির বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

শেয়ারনিউজ, ১৭ অক্টোবর ২০২৩