ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

আগের স্টাইলের সব ভূমি জরিপ নিয়ে যা বললেন ভূমিমন্ত্রী

২০২৩ সেপ্টেম্বর ১৩ ১৭:২০:০৪
আগের স্টাইলের সব ভূমি জরিপ নিয়ে যা বললেন ভূমিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি জরিপ নিয়ে মানুষ চরম অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। আমি নির্দেশনা দিয়েছি, দেশের ডিজিটাল জরিপ ছাড়া যেসব জরিপ হচ্ছে আগের স্টাইলে, সব জরিপ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে যে জরিপ হয়েছে, এগুলো বাতিল হিসাবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, এত কষ্ট করে যদি দুর্নামের ভাগী হয়ে থাকি, তা হলে তা নিরর্থক। সুতরাং যেসব জরিপ হচ্ছে, সব বন্ধ। ডিজিটাল সার্ভে পর্যায়ক্রমে হবে।'

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে 'ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল' নিয়ে আলোচনার সময় ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে— ডিজিটাল সার্ভে। এতে আমরা হাত দিয়েছি। পাইলটিং প্রকল্প নিয়েছি পটুয়াখালী ও বরগুনাতে। কিছু কিছু জায়গায় জরিপ হচ্ছে এবং আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। মানুষ চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর আগে গত রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে ভূমির একটি বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ভূমি জরিপ ও মৌজা মূল্য নির্ধারণে অনিয়ম নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিরোধী দলের একাধিক সংসদ সদস্য।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তুম আলী ফরাজী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ভূমি জরিপ পুরনো নিয়মে চলছে। জরিপ মানুষকে ফকির বানিয়ে দেয়। যেখানে জরিপ, সেখানেই মানুষ হচ্ছে গরিব। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নয়ছয় করে, কাগজ নাই, এটা নাই ওইটা নাই বলে টাকা নেন। সাধারণ মানুষে কোনো প্রতিকার পান না।

আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল–২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। নতুন এই বিলে বলা হয়েছে, জমির ভুয়া দলিল করলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হবে। বৈধ দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত না হলে কেউ কোনো ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

পাস হওয়া এই বিলে বলা হয়েছে, কোনো দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্রতারণামূলকভাবে দলিলের কোনো অংশ কাটা বা পরিবর্তন করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনো মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করা, প্রতারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিলে সই বা পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষেত্রেও একই সাজা ভোগ করতে হবে। ভূমি হস্তান্তর, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার, তথ্য গোপন করে কোনো ভূমির সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ কারও কাছে হস্তান্তর, ব্যক্তির পরিচয় গোপন করে জমি হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণসংবলিত কোনো দলিলে স্বাক্ষর করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

আরও বলা হয়েছে, হালনাগাদকৃত সর্বশেষ খতিয়ান মালিক বা তার উত্তরাধিকারসূত্রে বা হস্তান্তর বা দখলের উদ্দেশে আইনানুগভাবে সম্পাদিত দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোনো মালিকানা বা দখলের অধিকার প্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি ওই ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না। অবৈধ দখলের সাজা হবে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড। এ ছাড়া ১৯৮৪ সালের ল্যান্ড রিফর্মস অর্ডিন্যান্স রহিত করে 'ভূমি সংস্কার বিল' পাস হয়েছে।

শেয়ারনিউজ, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে