ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

বিদায় বেলায় নিজেও কাঁদলেন, অন্যদেরও কাঁদালেন

২০২৩ আগস্ট ৩১ ১৬:০৩:৫৪
বিদায় বেলায় নিজেও কাঁদলেন, অন্যদেরও কাঁদালেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস ছিল আজ (৩১ আগস্ট)। এদিন আপিল বিভাগের এজলাসকক্ষে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শেষ বিচারিক কর্মদিবসে বাবা-মায়ের স্মৃতিচারণ ও বিচার বিভাগ ছেড়ে যাওয়ার কথা ভেবে কেঁদেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য দেওয়ার সময় এই আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা হয়। প্রধান বিচারপতির কান্নার সময় এজলাসকক্ষে উপস্থিত তার মেয়ে, নাতি ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনকেও কাঁদতে দেখা যায়।

বিদায় বেলায় প্রধান বিচারপতি বলেন, এই বিদায় মুহূর্তে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি আমার মরহুম বাবা-মাকে। আমার জন্য এবং আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য অপরিসীম কষ্ট আর ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তারা আমার সংগ্রামের পথে সহায়তা করেছেন।

প্রধান বিচারপতি মা-বাবার কথা বলেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন, কেঁদে ওঠেন। এক মিনিটের মতো কথা বলতে পারেননি তিনি। এ সময় এজলাসকক্ষে উপস্থিত থাকা প্রধান বিচারপতির বড় মেয়ে, নাতি ও ছোট মেয়ের জামাইকেও কাঁদতে দেখা যায়। কিছু সময়ের জন্য এজলাসকক্ষের পুরো পরিবেশ নীরব-নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে।

এরপর প্রধান বিচারপতি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, আমি বিচার বিভাগকে বেশি ভালোবেসে ফেলেছিলাম এবং আমি চেষ্টা করেছি স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতি, বিপুলসংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। এজলাসকক্ষে তিল ধারণের জায়গা ছিল না।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শপথ বাক্যপাঠ করান।

শেয়ারনিউজ, ৩১ আগস্ট ২০২৩

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে