ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Sharenews24

এবার বিয়ের দাবিতে আইডিয়ালের শিক্ষকের বাসায় ছাত্রী

২০২৩ আগস্ট ৩০ ১৪:০২:১৯
এবার বিয়ের দাবিতে আইডিয়ালের শিক্ষকের বাসায় ছাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির একজন দাতা সদস্যের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করাকে কেন্দ্র করে আলোচনা-সমালোচনা এখনও শেষ হয়নি। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এরইমধ্যে আরেক ছাত্রী বিয়ের দাবিতে আইডিয়ালের এক শিক্ষকের ওঠেন। পরে কয়েকজন শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় ওই ছাত্রীকে তার পরিবারের কাছে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিব্রত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম মুরাদ আহম্মদ। তিনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল (মতিঝিল) শাখার ইংরেজি ভার্সনের দিবা শাখার ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। অন্যদিকে ওই ছাত্রী বর্তমানে একটি কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।

ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবারের অভিযোগ, বিবাহিত হলেও বিয়ের প্রলোভনে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে শিক্ষক মুরাদ আহমেদ। কিন্তু এখন সে বিয়ে করতে চায় না। এ কারণে গত ২৩ আগস্ট রাত ৯টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ওই শিক্ষকের বাসায় ওঠেন ওই ছাত্রী।

এদিকে এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা শাহজাহানপুর থানায় একটি জিডি করেছেন। জিডিতে বলা হয়, ‘প্রায় ৭-৮ বছর আগে তার মেয়ে শিক্ষক মুরাদ আহমেদের অধীনে কোচিং করত। বিবাহিত ও দুই সন্তানের বাবা হওয়া সত্ত্বেও মুরাদ তার মেয়েকে পরকীয়া করে। ২৩ আগস্ট ওই শিক্ষক তাকে জিজ্ঞাসা করেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্ররোচনার শিকার হয়ে ওই শিক্ষার্থী তার বাড়িতে চলে যায়।’

জিডিতে আরও বলা হয়, ‘ওইদিন রাত ৯টায় আমার মেয়ে শিক্ষকের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে কাউকে কিছু না বলে শিক্ষকের বাসায় চলে যান। খবর পেয়ে আমরা শিক্ষকের বাসা থেকে মেয়েকে উদ্ধার করতে যাই। এসময় ওই শিক্ষক আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। পরে শিক্ষক বাসা থেকে পালিয়ে যান এবং মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে যাই আমরা।’ শিক্ষক মুরাদ আহম্মদ যেকোনো সময় ওই ছাত্রীর ক্ষতি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে তার পরিবার।

এর আগেও এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৩ সালে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় তাকে মতিঝিল শাখা থেকে বনশ্রী শাখায় বদলি করা হয়। পরে তিনি আবার মূল শাখা ফিরে যান। অভিযোগের বিষয়ে জানতে মুরাদ আহম্মদের মোবাইল নম্বরে কয়েক দফা কল দেওয়া হলেও রিসিভ করেননি তিনি।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি কিছুটা শুনেছি। বিস্তারিত জানি না। উনি (মুরাদ) স্কুলেও আসেননি। এটা নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করে দেখবো বলে জানান তিনি।

শেয়ারনিউজ, ৩০ আগস্ট ২০২৩

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে