ঢাকা, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি: নির্বাচন নিয়ে ফের গভীর শঙ্কা

২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ০০:২৫:৫৮
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি: নির্বাচন নিয়ে ফের গভীর শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশজুড়ে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া সহিংসতা, হত্যা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। দলটির নেতারা মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই ভয়াবহ অবনতি মূলত নির্বাচন বানচাল করার একটি সুপরিকল্পিত দুরভিসন্ধি। তবে এরই মধ্যে গত সোমবার মার্কিন বিশেষ দূতের সাথে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নির্দিষ্ট সময়েই ভোট আয়োজনের বিষয়ে যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, বিএনপি নেতারা আপাতত তাঁর সেই কথায় আস্থা রাখতে চাইছেন।

গত ১১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন তফশিল ঘোষণা করার পরপরই দেশে কয়েকটি নাশকতামূলক ঘটনা জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়া, লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এক শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা, ময়মনসিংহে পোশাকশ্রমিক হত্যা এবং শীর্ষস্থানীয় দুটি জাতীয় দৈনিকের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের মতো ঘটনাগুলো রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এমন অস্থিতিশীল পরিবেশে আদৌ যথাসময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না, তা নিয়ে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহলে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়নে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গভীর ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত আছে এবং সামনের পথ খুব একটা সহজ নয়। তিনি মনে করিয়ে দেন, এক বছর আগে যে ধরনের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল, বর্তমানে সেই সন্দেহগুলোই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। অর্থাৎ, একটি অদৃশ্য মহল এখনও গণতন্ত্রের পথে যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে তৎপর রয়েছে।

মঙ্গলবার পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতায় সাধারণ মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মানুষ এখন নতুন করে ভাবছে নির্বাচন আদৌ হবে কি না। মির্জা ফখরুলের মতে, একটি বিশেষ মহল গণতন্ত্রে উত্তরণের প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করতে চায়। একই সাথে বর্তমান সরকারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভোটের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারকে আরও বেশি সচেতন ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।

গণমাধ্যম ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি অভিযোগ করেন, একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটলেও সময়মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেখা মিলছে না। মির্জা আব্বাসের মতে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের পর পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরি করে ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পণ্ড করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা পত্রিকা অফিস ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করছে, তারা মূলত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সিরাজ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে