ঢাকা, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
Sharenews24

বিএসইসির নতুন নিয়মে অস্তিত্ব সংকটে ৩১ মিউচুয়াল ফান্ড

২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ০০:১২:৫৯
বিএসইসির নতুন নিয়মে অস্তিত্ব সংকটে ৩১ মিউচুয়াল ফান্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাম্প্রতিক প্রজ্ঞাপন শেয়ারবাজারের ক্লোজ-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড খাতে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে তালিকাভুক্ত ৩৪টি ক্লোজ-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩১টি ফান্ড অবসায়ন অথবা ওপেন-এন্ড ফান্ডে রূপান্তরের ঝুঁকিতে পড়েছে। গত ১২ নভেম্বর জারি করা সরকারি গেজেটে বলা হয়েছে, কোনো ফান্ডের গড় বাজারদর যদি তার ইস্যু মূল্য বা নিট সম্পদ মূল্যের তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি কমে যায় এবং সেই অবস্থা টানা ছয় মাস বজায় থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টিকে ইউনিট হোল্ডারদের নিয়ে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করতে হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, কেবল প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড-১ ও রিলায়েন্স ওয়ান—এই তিনটি ফান্ডই বিএসইসির নির্ধারিত সীমার ওপরে অবস্থান করছে। বাকি ৩১টি ফান্ড বর্তমানে নির্ধারিত মানদণ্ডের নিচে লেনদেন হচ্ছে। নতুন বিধান অনুযায়ী, এসব ফান্ডের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ইউনিট হোল্ডারদের কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ ভোটের সমর্থন লাগবে। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীরা চাইলে সভায় ফান্ড ম্যানেজার বা ট্রাস্টি পরিবর্তনের সিদ্ধান্তও নিতে পারবেন।

এ বিষয়ে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীরা ন্যায্য ডিভিডেন্ড থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন। অনেক মিউচুয়াল ফান্ড তাদের ঘোষিত নিট সম্পদ মূল্যের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম দামে লেনদেন হচ্ছে, যা স্বাভাবিক বাজার আচরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে আর কোনো ক্লোজ-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড অনুমোদন দেওয়া হবে না এবং আন্তর্জাতিকভাবেও এই কাঠামো ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং ফান্ড খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই কমিশন এই কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

তবে বাজার বিশ্লেষকদের একটি অংশ এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়েও সতর্ক করছেন। তাঁদের মতে, একসঙ্গে বহু ফান্ড অবসায়ন বা রূপান্তরের পথে গেলে বাজারে বড় ধরনের বিক্রয়চাপ সৃষ্টি হতে পারে।

পাশাপাশি তাঁরা মনে করেন, নিট সম্পদ মূল্যের স্বচ্ছ ও নির্ভুল হিসাব প্রকাশ নিশ্চিত করা এবং ফান্ডের মেয়াদ শেষে তা বাড়ানোর পরিবর্তে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি। অন্যথায় ভালো পারফরম্যান্স থাকা সত্ত্বেও দক্ষ ফান্ড ম্যানেজাররাও সামগ্রিক দুর্বলতার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

মামুন/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে