ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

রাজশাহী কাঁপানো ঘটনায় নতুন সব তথ্য প্রকাশ

২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১৫:২১:৪৯
রাজশাহী কাঁপানো ঘটনায় নতুন সব তথ্য প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার লিমন মিয়া (৩৫) গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বাসিন্দা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারের সঙ্গে পূর্বপরিচয় ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমেই লিমনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক তৈরি হয়। একই জেলার হওয়ায় এ যোগাযোগ সময়ের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছিল।

ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনের পাড়ার বাসিন্দা লিমন মিয়া স্থানীয় এইচ এম ছোলায়মান হোসেন শহীদের ছেলে।

উচ্চমাধ্যমিক শেষে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং সাত-আট বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০১৮ সালে অবসর নেন। এরপর গাইবান্ধার গজারিয়া হাট ও বালাসী ঘাট এলাকায় বালু-বাণিজ্য ও বিভিন্ন ব্যবসায় যুক্ত হন। পাশাপাশি শেয়ারবাজারেও জড়িত ছিলেন।

স্থানীয়দের দাবি, তিনি ‘জিয়া সাইবার সোর্স’ নামক একটি সংগঠনের সঙ্গেও কাজ করতেন।লিমনের বাবা শহীদ মিয়া বলেন,“চাকরি ছাড়ার পর থেকেই ছেলের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব বাড়ে। এক মাস আগে বলেছিল চোখ দেখাতে ঢাকায় যাচ্ছে, এরপর আর কোনো যোগাযোগ নেই।”

বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারের বাবার বাড়ি গাইবান্ধা শহরের এটেস্টেটপাড়ায়। একই জেলা হওয়ায় তাসমিন নাহারের সঙ্গে লিমনের পরিচয় তৈরি হয়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, পরিচয়ের সুবাদে লিমন প্রায়ই তাসমিন নাহারের কাছে আর্থিক সহায়তা চাইতেন। সহায়তা না পেয়ে তিনি একাধিকবার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

৩ নভেম্বর সকালে তিনি বিচারকের মেয়ের ফেসবুক মেসেঞ্জারে কল করে পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকি দেন—এমন অভিযোগও ওঠে।এ ঘটনার পর ৬ নভেম্বর তাসমিন নাহার সিলেটের জালালাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্য পরিচয় দেওয়া লিমন মিয়া বারবার আর্থিক সাহায্য না পেয়ে তাকে ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন।

অন্যদিকে গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেওয়া ভিডিও বার্তায় লিমন দাবি করেন,তাদের পরিচয় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এবং পাঁচ বছর ধরে তাদের ‘সম্পর্ক’ ছিল।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর ডাবতলা এলাকায় বিচারকের ভাড়া বাসায় ঢুকে তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন লিমন। এ সময় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারও গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে লিমনকে গ্রেপ্তার করে।ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, সম্পর্ক নাকি আর্থিক গোলযোগ—তদন্তে নতুন দিক

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন,“ব্যক্তিগত সম্পর্ক, আর্থিক লেনদেন অথবা বহুদিনের দ্বন্দ্ব—যেকোনো কারণ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। প্রতিটি দিকই আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।”

তিনি জানান, প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে