ঢাকা, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
Sharenews24

যে কারণে হঠাৎ বির্তকে সালাহউদ্দিনের আহমেদের ছেলে

২০২৫ নভেম্বর ০২ ০৯:৩০:৫৩
যে কারণে হঠাৎ বির্তকে সালাহউদ্দিনের আহমেদের ছেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি, বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের ছেলে সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। এই সাক্ষাৎ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানান আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ ড. ইউনূসের সাথে তোলা পাঁচটি ছবি ফেসবুকে আপলোড করে ক্যাপশনে লিখেছেন যে, ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস অর্থনীতির তত্ত্ব নিয়ে বিমোহিত হয়ে পড়েন। তিনি উপলব্ধি করেন যে প্রচলিত অর্থনীতি বাস্তব মানবিক কষ্টের সমাধান দিতে ব্যর্থ। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে দরিদ্র গ্রামগুলোতে, বিশেষ করে জোবরা গ্রামে, সরাসরি দরিদ্র মানুষের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। তিনি আবিষ্কার করেন যে জোবরা গ্রামের ৪২ জন দরিদ্র মানুষ মাত্র ২৭ ডলার পেলেই ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তিনি নিজের অর্থ থেকে তাদের সেই টাকা ধার দেন, এবং বিস্ময়ের বিষয়—সবাই সময়মতো ঋণ পরিশোধ করে। তিনি বুঝতে পারেন, মানুষকে দরিদ্র করে রাখে আলস্য বা খারাপ মানসিকতা নয়, বরং ঋণ ও পুঁজির অভাব। এই অভিজ্ঞতা থেকেই তার উদ্যোগ ক্রমে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার দিকে নিয়ে যায়, যা বাংলাদেশকে বিশ্বজুড়ে একটি পরিচিত নাম করে তোলে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ড. ইউনূসের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে যুব বেকারত্ব নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে পারা তার জন্য ছিল এক বিশেষ সম্মান। "শিক্ষা ও ক্রীড়া" – এই দুটি ক্ষেত্র, যা তার ব্যক্তিগতভাবে খুব কাছের, কীভাবে নতুন প্রজন্মের সম্ভাবনাকে আরও বিকশিত করতে পারে এবং একইসঙ্গে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পথে মসৃণ রূপান্তর নিশ্চিত করতে পারে – এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সরকারকে এই সম্মান প্রদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এদিকে, এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত গণমাধ্যমকর্মী আসিফ সোহান তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন যে, সালাহউদ্দিন আহমেদের ছেলে একাধারে এস আলম গ্রুপ ও সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকোর হেড অফিসের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, সালাহউদ্দিন সাহেবের কাছে জনগণ প্রশ্ন করলে কি উত্তর দেবেন যে তার ছেলে কেন এস আলম এর ব্যবসা দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন? তিনি আরও প্রশ্ন করেছেন, সালাহউদ্দিন আহমেদের এই ছেলে গত ১৭ বছর কোথায় ছিলেন এবং দেশের জন্য বা আন্দোলনে তার কি অবদান ছিল। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, দেশটা মিলেমিশে ঘুরেফিরে খায় বাঘে, আর জনগণ খামাখা দৌড়ায় শিয়াল-কুত্তার পিছে।

ফেসবুকে এসব প্রশ্ন উঠলে এর প্রতিক্রিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতা রাশেদ খান ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেন যে, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (AIUB)-এর সহকারী অধ্যাপক সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদের একাডেমিক ক্যারিয়ার বেশ বর্ণাঢ্য। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো, ইউনিভার্সিটি অফ কেন্ট, ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন থেকে স্কলারশিপে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে তিনি AIUB তে নিয়মিত শিক্ষকতা করছেন। প্রতিদিন ক্লাস নেন, শিক্ষার্থীদের পড়ান ও নিজে পড়েন, মাঝে মাঝে পত্রিকায় কলাম লেখেন। তিনি দেশ নিয়ে খুব ইতিবাচক চিন্তা করেন, বিশেষ করে শিক্ষাখাত, খেলাধুলা ও তরুণদের নিয়ে তিনি কাজ ও চিন্তা করেন। রাশেদ খান প্রশ্ন করেন যে, একজন নেতার ছেলে হয়ে যোগ্য শিক্ষক সেট ও বুদ্ধি অপবাদ? তিনি আরও বলেন যে, মিথ্যাচার ও কারো চরিত্র হনন করা কোন নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের প্রতি অনেকের আকর্ষণ আছে, তিনি ৮৫ বছরের মানুষ। তার সাথে স্মৃতি ধরে রাখা ও গৌরবের বিষয়। রাশেদ খান মন্তব্য করেছেন যে, আমাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন না হলে এই দেশ ভালো মানুষের জন্য বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়বে।মুসআব/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে