ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

শোকজের প্রতিক্রিয়ায় যা জানালেন সিলেটের ডিসি সারওয়ার

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৫ ১৯:১৫:৩৫
শোকজের প্রতিক্রিয়ায় যা জানালেন সিলেটের ডিসি সারওয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলমকে ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ’ (শোকজ) দিয়েছে আদালত। সম্প্রতি খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনায় আদালতের এক আদেশে তাকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এই আদেশ দিয়েছেন সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ (সদর) আদালত। ‘এখতিয়ারবহির্ভূত ও বেআইনি সাময়িক বরখাস্ত আদেশ’– এই অভিযোগে দায়ের করা এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশনা জারি করেন। মামলাটি করেছেন বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এ এইচ ইরশাদুল হক।

ঘটনার সূত্রপাত গত ৯ সেপ্টেম্বর। ওই দিন খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে একজন নতুন প্রিন্সিপাল দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিন নিজেদের উদ্যোগে যথাক্রমে ভাইস প্রিন্সিপাল (নারী) এবং ভাইস প্রিন্সিপাল (পুরুষ) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কোনো বৈধ নিয়োগপত্র বা প্রমোশন ছাড়াই জোরপূর্বক এই পদে দায়িত্ব নেন এবং স্কুলের ওয়েবসাইটে তাদের পদবির হালনাগাদ করেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রেস রিলিজ দিয়ে ব্যাপক প্রচারও চালান। এতে প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের অভিনন্দন জানাতে ‘বাধ্য’ করা হয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিলেটের ডিসি মো. সারওয়ার আলম দু’জন শিক্ষককে বরখাস্ত করেন। এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ডিসি সারওয়ার বলেন,“প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশন অনুযায়ী, কেউ স্বপ্রণোদিতভাবে পদ গ্রহণ করতে পারে না। কোনো বৈধ কর্তৃপক্ষের নিয়োগপত্র না থাকা অবস্থায় এই পদে বসা সম্পূর্ণ বেআইনি।”

তিনি আরও বলেন, “সার্ভিস রুলস ভঙ্গ করায় আবেদা হক ও রোকন উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।”

এই বরখাস্ত আদেশকে ‘অবৈধ ও এখতিয়ারবহির্ভূত’ দাবি করে ওই দুই শিক্ষক আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলমকে শোকজ করেন এবং ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেন।

ডিসি সারওয়ার জানিয়েছেন, তিনি আদালতের নোটিশ পেয়েছেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লিখিত জবাব দাখিল করবেন। তিনি আইন মেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করেন।

এই ঘটনা ঘিরে এখন সিলেট প্রশাসন এবং শিক্ষা মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। একদিকে স্কুল পরিচালনা পরিষদের বিধি-নিষেধ, অন্যদিকে একজন ডিসির প্রশাসনিক ভূমিকা—এই দুইয়ের সংঘাত এবার আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে