ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

স্ত্রীর কারণে বাধ্যতামূলক অবসরে ডিআইজি

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৫ ১১:৫২:০৬
স্ত্রীর কারণে বাধ্যতামূলক অবসরে ডিআইজি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তিনি বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বাসিন্দা। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গত ১০ সেপ্টেম্বর জারি হওয়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে মিলন এক মাসের ছুটি নেন, যা তিনি অসুস্থতার অজুহাতে নিয়েছিলেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, ওই সময় তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে তার স্ত্রী শাহজাদী আলম লিপির নির্বাচনী প্রচারণায় সরাসরি অংশ নেন। তিনি শুধু মাঠ পর্যায়ে উপস্থিত ছিলেন না, বরং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রেখে নির্বাচনী কৌশলও ঠিক করেন। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য মাধ্যমে নিয়মিত পরামর্শ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

একজন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা রাজনৈতিক প্রচারণায় সরাসরি জড়িত থাকার খবর বিভিন্ন মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নজরে আসার পর পুলিশ সদর দপ্তরের ডিসিপ্লিন উইং তদন্ত শুরু করে। তদন্তে মিলনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়। তদন্ত শেষে তার কর্মকাণ্ডকে সরকারি কর্মচারী আইন অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হামিদুল আলম মিলনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(খ) ধারা এবং সরকারি কর্মচারী আইন, ২০১৮-এর ৪৫(১) ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ কারণে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এই আদেশ কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে তিনি সরকারি চাকরির সকল দায়িত্ব ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বাদ পড়েছেন।

মিলনের দীর্ঘ চাকরি জীবনে নানা বিতর্ক তাকে ঘিরে ছিল। সহকর্মীদের মতে, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, অতিরিক্ত প্রভাব খাটানো ও নানা সমালোচিত সিদ্ধান্তের কারণে তিনি প্রায়ই আলোচনায় ছিলেন। নিজ জেলা বগুড়ায় তার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ছিল বহুদিন ধরেই আলোচনার বিষয়। স্থানীয়দের অনেকেই বলেন, “একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মিলন। এবার সেই অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।”

এই ঘটনা প্রশাসনের জন্য একটি বার্তা হিসেবেও দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এটি শুধু একজন কর্মকর্তার জন্য শাস্তি নয়, বরং গোটা প্রশাসনের জন্য একটি সতর্কবার্তা—সরকারি চাকরিজীবীরা যদি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে