ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
Sharenews24

ডাকসু নির্বাচনের ১৮ প্রার্থীর ফলাফলেই গরমিল!

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৫ ১০:৫২:৫৯
ডাকসু নির্বাচনের ১৮ প্রার্থীর ফলাফলেই গরমিল!

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত ফলাফলের সঙ্গে হলভিত্তিক ফলাফলে গরমিল পাওয়া গেছে ১৮ প্রার্থীর ভোটের অঙ্কে। এই গরমিল নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনা।

কেউ পেলেন কম, কেউ পেলেন বেশি ভোট!

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনের ভোট কম এবং ৯ জনের ভোট বেশি দেখানো হয়েছে।উদাহরণস্বরূপ:

আসিফ আব্দুল্লাহ (ছাত্র পরিবহন সম্পাদক): হলভিত্তিক ভোট ৯১০১, কিন্তু কেন্দ্রীয় ফলে লেখা হয়েছে ৯০৬১।

আসিফ জারদারী: ভোট ২০৫০, কিন্তু কেন্দ্রীয় ফলে ২০০০।

মাজহারুল ইসলাম (ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক): ৫০০ ভোট কম।

চিম চিম্যা চাকমা (ক্রীড়া সম্পাদক): ১০০ ভোট কম।

সদস্য পদে সর্বমিত্র চাকমা ও আবিদ আব্দুল্লাহ-এর যথাক্রমে ৫৬০ ও ৪০ ভোট কম।

অন্যদিকে, বাড়িয়ে দেখানো ফলাফলেও নজর কেড়েছে:

রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (সহ-সভাপতি): প্রকৃত ভোট ৬, কেন্দ্রীয় ফলে ৮।

আশরেফা খাতুন (এজিএস): ৮৯০ ভোট → কেন্দ্রীয় ফলে ৯০০।

তাওহিদুল ইসলাম (সমাজসেবা সম্পাদক): ২০৪৪ → ২০৪৫।

ফাতিন ইশরাক (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক): ২০১১ → ২০২১।

এই ভোট গরমিল প্রসঙ্গে চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেন:“ভোট গণনার সময় সবাই ক্লান্ত ছিলেন। কিছু টাইপিং মিস্টেক হয়েছে। তবে হলভিত্তিক ভোটের ফলাফলে ভুল নেই। শিক্ষার্থীরা যে সংখ্যাটি যোগ করেছে, সেটাই সঠিক।”

তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন—এ ধরনের ভুল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর আস্থা নষ্ট করে।

নির্বাচনের পুরো ফলাফলে দেখা গেছে, ১৮টি হলের মধ্যে ৬টি হলের ফলাফলে কত ভোট বাতিল হয়েছে বা কাস্ট হয়নি তা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু অন্য হলগুলোর তথ্য অনুপস্থিত। এই অসম্পূর্ণতা থেকেই প্রশ্ন উঠেছে—কীসের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ফলাফল নির্ধারণ করা হলো?

ভিপি পদে কে কোথায় দাঁড়ালেন?

আবু সাদিক কায়েম (ছাত্রশিবির) – ৪৮%

আবিদুল ইসলাম (ছাত্রদল) – ১৯.৫১%

উমামা ফাতেমা (স্বতন্ত্র) – ১১.৫৮%

শামীম হোসেন ছাত্রী হলে এগিয়ে

আবদুল কাদের (বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ) – ৩.৭৭%

জামালুদ্দীন খালিদ (স্বতন্ত্র) – ১.৭২%

মোট ভোটার ছিলেন ৩৯,৭৭৪ জন। এর মধ্যে ২৯,২৫৭ ভোট পড়েছে, যা ৭৩.৫৬% ভোটার উপস্থিতি। ছাত্র হলে ভোট পড়েছে ৫৮.৪৮% এবং ছাত্রী হলে ৪১.৫২%।

ভোটের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে এই ধরনের ভুল শুধু “টাইপিং মিস্টেক” বলে উড়িয়ে দেওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। ফলাফল সংশোধন না হলে ডাকসু নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে।

তবে প্রধান রিটার্নিং অফিসার আশ্বাস দিয়েছেন,“গরমিল সংশোধনের কাজ খুব দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।”

জাহিদ/

শেয়ারনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে